জনগণকে শান্ত রেখে ভ্যানচালককে পুলিশে ধরিয়ে দিতে সহায়ক ভূমিকা পালনের জন্য এরই মধ্যে ‘হিরো অফ দ্য ডে’ খেতাব পেয়েছেন তিনি।
কিভাবে হামলার হোতাকে বাঁচালেন সে মুহূর্তটির কথা নিজ মুখেই বর্ণনা করেছেন মাহমুদ।
ঘটনার বর্ণনায় তিনি বলেন, উত্তর লন্ডনে মুসলিম ওয়েলফেয়ার হাউজের বাইরে ভ্যান হামলার পরক্ষণেই ক্ষুব্ধ মানুষজন হামলাকারীকে মারতে উদ্যত হয়েছিল।
আর তখনই তার জীবন বাঁচাতে এগিয়ে যান মাহমুদ। উত্তেজিত জনতাকে তিনি বার বার বলতে থাকেন, “তাকে মেরো না, মেরো না, পুলিশের হাতে তুলে দাও।”
ভ্যানচালক যখন চিৎকার করে বলছিল- ‘আমি সব মুসলমানকে মেরে ফেলতে চাই’, ঠিক তখনই তাকে পাল্টা আঘত না করে মানুষজনকে বার বার শান্ত থাকতে বলেন ইমাম মাহমুদ।
কিন্তু তারপরও লোকজনকে শান্ত থাকতে বলে বার বার তাকে পুলিশে সোপর্দ করার অনুরোধ জানাতে থাকেন মাহমুদ। এক পর্যায়ে আরও কয়েকজন এগিয়ে এসে তার সঙ্গে যোগ দিয়ে হামলাকারীকে সুরক্ষিত রাখে।
মাহমুদের উক্তি, “আমি আর আমার কয়েকজন ভাই মিলে জনরোষ থেকে অভিযুক্ত সন্ত্রাসীকে বাঁচাতে সক্ষম হয়েছি।”
“প্রচণ্ড উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করার পরও শ্বেতাঙ্গ ওই ভ্যানচালকের গায়ে কোনও অাঁচ লাগেনি। তাকে শান্ত-সৌম্য অবস্থাতেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।”
হামলার পর পরিস্থিতি বিশৃঙ্খল হয়ে উঠতে থাকার সময়ই একটি পুলিশের গাড়ি কাছ দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় মাহমুদসহ আরও কয়েকজন কোনওভাবে গাড়িটিকে থামিয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলেন এবং হামলাকারীকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
লন্ডন পুলিশ স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড জনগণের এই সংযমের প্রসংশা করেছে। ওদিকে, জনগণকে শান্ত রাখার চেষ্টার জন্য মাহমুদকে ‘হিরো অব দ্য ডে’ খেতাব দিয়েছে মুসলিম ওয়েলফেয়ার হাউজ।
আর হামলার পরও জনগণের শান্ত থাকার এ দৃষ্টান্ত যে মুসলিম সম্প্রদায়ের সহিংসতার বহির্মুখী চিত্রটির ঠিক বিপরীত- সেকথাটিই ক্যামেরার সামনে এক বক্তব্যে তুলে ধরেছেন মাহমুদ।
বলেছেন, “আমাদের এ সম্প্রদায় সহিংসতা নয়, শান্তির সম্প্রদায় হিসাবেই পরিচিত। মসজিদ অনাবিল শান্তির জায়গা। আমরা যে কোনও উত্তেজনা প্রশমনে আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করে যাব।”