প্রেমিককে আত্মহত্যার প্ররোচনায় দোষী মার্কিন তরুণী

যুক্তরাষ্ট্রে এক তরুণীর বিরুদ্ধে মোবাইলে একের পর এক বার্তা পাঠিয়ে প্রেমিককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে রুল জারি করেছে আদালত।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2017, 04:25 PM
Updated : 17 June 2017, 04:25 PM

ম্যাসাচুসেটস আদালত মিশেল কার্টারকে বার্তা পাঠিয়ে অসচেতনভাবে তার প্রেমিককে হত্যার দায়ে অপরাধী ঘোষণা করেছে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে কার্টারের সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

কার্টারের বর্তমান বয়স ২০ বছর। ২০১৪ সালের ১৩ জুলাই তার প্রেমিক কনরাড রয়কে (১৮) ম্যাসাচুসেটসের ফেয়ারহ্যাভেন এলাকায় একটি কার পার্কের ভেতর নিজের গাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

বিবিসি জানায়, রয় তার ট্রাকের দরজা-জানালা বন্ধ করে জেনারেটর চালিয়ে দিলে ভেতর কার্বন মনো-অক্সাইড গ্যাসে ভরে যায়। ওই ধোঁয়ার মধ্যে দমবন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়।

ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে আসলে এক পর্যায়ে ট্রাক থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন রয়। কিন্তু কার্টার তাকে ম্যাসেজ পাঠিয়ে আবারও গাড়ির ভেতরে যেতে বলেন।

একজন ‘শোকগ্রস্ত প্রেমিকা’ হিসেবে সবার মনযোগ আকর্ষণ করতে কার্টার তার প্রেমিককে আত্মহত্যার প্ররোচণা দিয়েছিলেন, আদালতে বাদী পক্ষের আইনজীবী এ কথা প্রমাণ করতে সক্ষম হন।

এই মামলা বিচার ব্যবস্থায় একটি উদারহণ হয়ে থাকবে। কারণ ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে কাউকে আত্মহত্যা করতে বলা অপরাধ বলে গণ্য হয় না।

বিচারপতি লরেন্স মনিজ বলেন, ধোঁয়ায় ভরে যাওয়া ট্রাক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরও ম্যাসেজ পাঠিয়ে রয়কে আবারও ট্রাকের ভেতরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া কার্টারকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বেপরোয়া’ কর্মকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে।

“সে রয়কে বাঁচাতে কাউকে ডাকেনি। এমনকি শেষ পর্যন্ত সাধারণ একটি কথা ‘ট্রাক থেকে বেরিয়ে যাও’ সে বলেনি।”

অপরাধী ঘোষণার পর আদালতকক্ষে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন কার্টার।

অন্যদিকে এক সংবাদ সম্মেলনে রয়ের বাবা বলেন, “এই রায়ের জন্য আমার পরিবার ধন্যবাদ জানাচ্ছে।”

“আমাদের পরিবারের জন্য এটা খুবই কঠিন সময়। আমরা মামলা চালিয়ে যাব।”

অপরাধী ঘোষণা করা হলেও বিচারক কার্টারকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন। তবে সে কাউকে টেক্সট ম্যাসেজ করতে পারবে না বা কোনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারবে না।