নতুন কিউবা নীতি ঘোষণা করছেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কিউবা নীতি ঘোষণা করতে চলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

>>রয়টার্স
Published : 16 June 2017, 03:21 PM
Updated : 16 June 2017, 05:41 PM

শুক্রবার মিয়ামিতে এক ভাষণে ট্রাম্প এ নীতি ঘোষণা করবেন। আর তা অনেক কঠোর হতে চলেছে বলেই আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিউবার সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলিয়েছিলেন। কিন্তু ট্রাম্প ফের উল্টো পথেই হাঁটতে চাইছেন।

ওবামার সঙ্গে কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রোর চুক্তির পর কিউবার কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিউবায় অবাধ যাতায়াতও শুরু করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা। ট্রাম্প খড়্গহস্ত হচ্ছেন এসবেও।

নতুন নীতিতে তিনি মার্কিনিদের কিউবা ভ্রমণ এবং কিউবার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেনের ওপর কড়াকড়ির পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন।

ট্রাম্প প্রশাসন কিউবা-যুক্তরাষ্ট্র নীতি আগাগোড়া পুনঃপর্যালোচনা করে দেখবে এমন কথা এ বছরের শুরুর দিকেই জানিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

ট্রাম্পও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার কিউবা নীতি উল্টে দেবেন বলে নির্বাচনী প্রচারের সময়ই হুমকি দিয়েছিলেন। আর এখন তিনি সেপথেই হাঁটতে চলেছেন।

কিউবায় মার্কিনিদের ভ্রমণ সীমিত করার পাশাপশি ভ্রমণ ও বাণিজ্যের ফলে মার্কিন অর্থ কিউবার সেনাবাহিনীর হাতে যাওয়াও বন্ধ করার চেষ্টা নেবে ট্রাম্প প্রশাসন।

নতুন নীতিতে কিউবার সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ‘আর্মড ফোর্সেস বিজনেস এন্টারপ্রাইজ গ্রুপ’ (জিএইএসএ) এর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ ব্যাসায়িক লেনদেন নিষিদ্ধ করা হবে।

তবে আকাশ এবং সমুদ্র ভ্রমণের মত বিষয়গুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। এতে করে কিউবায় মার্কিন এয়ারলাইন্স এবং প্রমোদতরী কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম চলবে।

তাছাড়া, ট্রাম্পের নতুন নীতিতে কিউবায় মার্কিন দূতাবাসও বন্ধ হবে না এবং ২০১৫ সালে কিউবার সঙ্গে পুনরুদ্ধার হওয়া কূটনৈতিক সম্পর্কও বহাল থাকবে। সম্প্রতি দু দেশের মধ্যে শুরু হওয়া বাণিজ্যিক ফ্লাইটগুলোও চালু থাকবে।

তবে ট্রাম্পের নতুন কিউবা নীতিতে দু’দেশের নতুন অর্থনৈতিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।