লন্ডনে ভবনে আগুন: সমালোচনার মুখে মে

লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেঁচে যাওয়াদের কাছ থেকে দেখতে না যাওয়ার জন্য তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2017, 12:19 PM
Updated : 16 June 2017, 01:20 PM

নির্বাচনের পর ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য মে ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির (ডিইউপি) সঙ্গে একটি চুক্তি করা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

এরই মধ্যে মঙ্গলবার মধ্যরাতে বা বুধবার শুরুর পর কোনও এক সময় গ্রেনফেল টাওয়ার নামের ওই ২৪ তলা ভবনটিতে আগুন লেগে মূহুর্তের মধ্যে তা পুরো ভবনজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়।

প্রধানমন্ত্রী মে এ ঘটনার পর খুব কম সময়ের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে কেবল জরুরি সেবা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে চলে আসেন। পরে তিনি ঘটনাটির পূর্ণ সরকারি তদন্তের নির্দেশ দেন এবং টেলিভিশনে একটি বিবৃতিতে দুঃখ প্রকাশ করেন।

কিন্তু তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখানকার অধিবাসী এবং স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলেননি এবং আহতদের দেখতে যাননি।

অন্যদিকে, ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ এমনকি বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিন এবং লন্ডনের মেয়র সাদিক খান ঘটনাস্থল গিয়ে অধিবাসীদের সঙ্গে  দেখা করেছেন। শুক্রবার সকালে সরকারের মন্ত্রীরা অধিবাসীদের সঙ্গে দেখা করে আসার পর তাদের সঙ্গে দেখা করতে যান রানি এবং প্রিন্স উইলিয়াম।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মে তা না করায় তিনি খোদ তার নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টির সমালোচনার মুখে পড়েছেন।

ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সাবেক মন্ত্রী মাইকেল পোর্টিল্লো বিবিসি কে বলেছেন, “তিনি (টেরিজা মে) একটি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ চেয়েছিলেন। কোনও মানবিকতা তিনি প্রদর্শন করেননি। তার সেখানকার অধিবাসীদের সঙ্গে একাত্ম হওয়া উচিত ছিল। জনগণকে নিয়ে ভীত হওয়া নয় বরং তাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশকে গ্রহণ করে নিতে প্রস্তুত থাকা উচিত ছিল।”

গত ৮ জুনের নির্বাচনে মে কে সমর্থন দেওয়া ব্রিটিশ পত্রপত্রিকাগুলোও বিষয়টি নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে মে দেখা করলেন না কেন? বৃহস্পতিবার এ প্রশ্নে জবাবে মে বলেন, “তিনি জরুরি সেবাকর্মীদের কাছ থেকেই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন।”