বিবিসি জানায়, নর্থ কেনসিংটনের পুড়ে যাওয়া ২৪তলা ভবনটিতে তৃতীয় দিনের মত উদ্ধার অভিযান চলছে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের সংখ্যা ৬০ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এ ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পূর্ব লন্ডনে অবস্থিত বহুতল ভবনটিতে আগুন লাগে। পরদিন দুপুরের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রাথমিকভাবে নিহত ছয় জনের নাম-পরিচয় জানা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমে একজনের নাম প্রকাশ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় প্রাণ হারানো সবার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে না বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমান্ডার স্টুয়ার্ট ক্যান্ডি।
তিনি বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে হয়তো নিহত সবার পরিচয় শনাক্ত করতে না পারার আশঙ্কার কথা জানাচ্ছি।”
নিহতের সংখ্যা আর বাড়বে কিনা এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, “আশা করি সংখ্যাটা তিন অংকের কোটায় পৌঁছাবে না।”
প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আলহাজালি ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্য আসেন।
বড় ভাই ওমরের সঙ্গে তিনি গ্রেনফেল টাওয়ারের ১৫ তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন বলে জানায় দাতব্য সংস্থা সিরিয়া সলিডারিটি ক্যাম্পেইন।
সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “সিরিয়ার যুদ্ধ ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে বিপদজনক পথ পাড়ি দিয়ে সে এদেশে এসেছিল। কিন্তু যুক্তরাজ্য তাকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
ভবনে আগুন লাগার পর দুই ভাই এক সঙ্গে সিঁড়ে দিয়ে নামার সময় আলহাজালিকে হারিয়ে ফেলেন বলে জানান ওমর।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ ঘটনায় ৩৫ জনের চিকিৎসা চলছে। তাদের মধ্যে ১৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।