লন্ডনে অগ্নিকাণ্ড: নিহত একজনের পরিচয় শনাক্ত

লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত একজনের পরিচয় জানা গেছে। জীবন বাঁচাতে তিন বছর আগে সিরিয়া থেকে পালিয়ে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন তিনি।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2017, 05:31 AM
Updated : 16 June 2017, 08:17 AM

বিবিসি জানায়, সিরীয় শরণার্থী ২৩ বছরের মোহাম্মদ আলহাজালি ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্য আসেন।

তিনি প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন বলে জানায় দাতব্য সংস্থা সিরিয়া সলিডারিটি ক্যাম্পেইন।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “আলহাজালি সিরিয়ায় যুদ্ধ ও মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে বিপদজনক পথ পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। এখানে তার নিজের পরিবারের সদস্যরা রয়েছে।”

মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনের ২৪ তলা গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লাগে। পরদিন দুপুরের পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

দাতব্য সংস্থাটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আলহাজালি ও তার ভাই ওমর ভবনটির ১৫ তলার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন। ভবনে আগুন লাগার পর দুই ভাই সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামার সময় পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান।

ওমরকে অগ্নিনির্বাপক বাহিনীর সদস্যরা উদ্ধার করে। কিন্তু আলহাজালি পুনরায় নিজেদের ফ্ল্যাট ফিরে যান এবং সিরিয়ায় পরিবারের সদস্যদের ফোন করার চেষ্টা করেন।

“আলহাজালি ওই সময় প্রায় দুই ঘণ্টা সিরিয়ায় তার এক বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেন এবং উদ্ধার পাওয়ার অপেক্ষা করেন।”

“তিনি তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন… কিন্তু তাকে ব্যর্থ হতে হয়। যখন আগুন তাদের ফ্ল্যাটেও ছড়িয়ে পড়ে তখন আলহাজালি তার বন্ধুর কাছ থেকে বিদায় নেন। তিনি তার বন্ধুকে তার পরিবারের কাছে তার মৃত্যুর খবর পৌঁছে দিতে বলেন।”

লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজদের ছবি দেওয়ালে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি: রয়টার্স

আলহাজালির ভাই ওমরকে কিংস কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

সন্তানকে শেষবারের মত দেখতে তার পিতামাতাকে সিরিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে আনার চেষ্টা চলছে বলে জানায় আলহাজালির পরিবার।

গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে এক বাঙ্গালি পরিবারের পাঁচ সদস্যও নিখোঁজ রয়েছে।

নিখোঁজ কমরু মিয়া ও তার স্ত্রী দুই ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে ভবনের ১৪২ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকতেন বলে তাদের স্বজনরা জানান।

পশ্চিম লন্ডনে ১৯৭৪ সালে নির্মিত ২৪ তলা এই ভবনে দেড়শর মতো আবাসিক ফ্ল্যাট ছিল।