আগাম মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে গত সপ্তাহ থেকে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলের ১৪টি জেলায় বন্যা দেখা দেয়।
বিবিসি জানায়, বন্যায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে মাটির নিচে চাপা পড়ে অধিকাংশ মানুষের মৃত্যু হয়। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১১২ জন।
বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়েছে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ।
শনিবার শ্রীলঙ্কার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়, “ওয়েস্টার্ন, সাবারাগামুওয়া, সাউদার্ন, সেন্ট্রাল এবং নর্থ-ওয়েস্টার্ন প্রদেশে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত থাকবে।”
শ্রীলঙ্কার তিন বাহিনীর সদস্যরাই উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছে।
দেশের এই দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় প্রতিবেশী দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সাহায্য কামনা করেছে শ্রীলঙ্কার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এরই মধ্যে ত্রাণ নিয়ে ভারতের দুইটি জাহাজ শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছে। আরও একটি জাহাজ পথে রয়েছে।
২০০৩ সালের পর এটাই শ্রীলঙ্কায় সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা। সেবার বন্যা ও ভূমিধসে ২৫০ মানুষের মৃত্যু এবং ১০ হাজারের বেশি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়।