বিবিসি জানায়, বিপর্যয়ের দ্বিতীয় দিন রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা থেকে ১১টার মধ্যে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ৯০টি ফ্লাইট ছেড়ে গেছে, বাতিল হয়েছে ৩৬টি ফ্লাইট।
গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে থেকে ১৭টি উড়োজাহাজ আকাশে উড়াল দিয়েছে। তবে সেখানে এদিন ফ্লাইট বিলম্বিত হলেও কোনোটি বাতিল হয়নি।
যদিও এ দুইটি বিমানবন্দর থেকে অন্যান্য এয়ারলাইনের ফ্লাইট সূচি স্বাভাবিক রয়েছে।
‘আইটি সিস্টেমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের’ কারণে ওই বিপর্যয় নেমে আসে বলে ধারণা ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষের। অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার জন্য তারা যাত্রীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
কোম্পানির প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্স ক্রুজ বলেন, “আইটি সিস্টেমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটই সার্ভার জটিলতার মূল কারণ বলে আমাদের বিশ্বাস।”
“এ বিপর্যয়ের পেছনে সাইবার হামলার কোনো প্রমাণ এখনও আমরা পাইনি।”
তাদের আইটি সিস্টেম এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। তাই রোববারও এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
শনিবারের ওই বিপর্যয়ের কারনে লন্ডনের হিথ্রো ও গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে ওই দিনের বেশিরভাগ ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
বিশ্বজুড়েও বিমান কোম্পানিটির প্রায় সব ফ্লাইট সূচিতে গণ্ডগোলের খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, শনিবার হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলেও অনেক যাত্রী তাদের লাগেজ না পৌঁছানোর কথা জানিয়েছেন।
বিবিসি জানায়, হিথ্রো বিমানবন্দরে হাজার হাজার লাগেজ পড়ে আছে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ লাগেজ সংগ্রহের জন্য যাত্রীদের বিমানবন্দরে পুনরায় না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, লাগেজগুলো যাত্রীদের ঠিকানায় কুরিয়ার করে দেওয়া হবে।
হিথ্রো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটের সময় সূচি নিয়ে খোঁজ খবর করে যাত্রীদের বিমানবন্দরের পথে রওয়ানা হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন।
এছাড়া, যেসব যাত্রীর ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তাদের এ পরিস্থিতিতে হিথ্রো বিমানবন্দর হয়ে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফ্লাইট বাতিল বা বিলম্বিত হওয়ার কারণে হিথ্রো বিমানবন্দরে আটকে পড়া যাত্রীদের ‘বিনামূল্যে পানি ও খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে’ বলে জানান বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র।