জম্মু ও কাশ্মিরে ৮ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত

জম্মু ও কাশ্মিরের বারামুল্লা জেলার রামপুর সেক্টরে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর একটি অনুপ্রবেশ উদ্যোগ প্রতিহত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2017, 07:26 AM
Updated : 27 May 2017, 07:28 AM

শনিবার সকালের এ ঘটনায় চার ‘সন্ত্রাসীকে’ হত্যা করার কথা জানিয়েছে তারা, খবর এনডিটিভির।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোরে সীমান্তে সতর্কাবস্থায় থাকা সৈন্যরা নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করার পর অভিযানটি শুরু করা হয়। 

ঘটনার বিষয়ে ভারতীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, “সেনাবাহিনীর সঙ্গে অনুপ্রবেশকারীদের গোলাগুলির পর চার সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়। তারপর ওই স্থানে একটি তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।

আর কোনো ‘সন্ত্রাসী’ লুকিয়ে নেই এটি নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনী ওই এলাকাটি ঘেরাও করে পরিষ্কার করে ফেলেছে বলে জানিয়েছেন সামরিক বাহিনীর ওই কর্মকর্তা। 

“অনুপ্রবেশের উদ্যোগ সাফল্যের সঙ্গে প্রতিহত করা হয়েছে,” নিশ্চিত করেছেন তিনি।

শনিবার পৃথক আরেকটি ঘটনায় জম্মু ও কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার ট্রল সেক্টরে তিন ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীকে’ ঘিরে ফেলে দুজনকে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন কাশ্মিরের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের নিহত নেতা বুরহান ওয়ানির উত্তরসূরী সাবজার ভাট বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। 

ট্রলের একটি ভবনে নিজেদের গোপন আস্তানায় আটকে পড়া ওই ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ সঙ্গে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক গুলি বিনিময় চলার সময় সাবজার ও তার সঙ্গী নিহত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুপক্ষের গোলাগুলি অব্যাহত ছিল।

শুক্রবার রামপুর সেক্টরের নিকটবর্তী উরি সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিমের (বিএটি) একটি হামলা প্রচেষ্টা উদঘাটন করেছে বলে একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কাশ্মিরের উরি সেক্টরে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ১০ হাজার ফুটের চেয়েও বেশি উচ্চতায় ভারতীয় বাহিনীর একটি চৌকির কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। এতে বিএটির দুই সদস্য বলে সন্দেহ করা দুই পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে হত্যা করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।

ওই দুই পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী নিয়ন্ত্রণ রেখা পার হয়ে সেখান থেকে ৬০০ মিটার দূরে ভারতীয় বাহিনীর চৌকিটির খুব কাছে চলে এসেছিল বলে জানানো হয়েছে। 

ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, ওই পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীরা ভারতীয় চৌকি বা টহল দলের সৈন্যদের হত্যা করে তাদের অঙ্গচ্ছেদ করার উদ্দেশ্য নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করেছিল বলে তাদের বিশ্বাস।

ওই দুই অনুপ্রবেশকারীর কাছ থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল ও একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে এবং তারা পিঠে কোনো ব্যাগ বহন করছিল না বলে জানিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। হামলা চালিয়ে দ্রুত সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্যেই তারা হালাকা অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল বলে সন্দেহ ভারতীয়দের।

বলা হয়, পাকিস্তানের স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপের (এসএসজি) উচ্চ প্রশিক্ষিত কমান্ডোদের সঙ্গে জেহাদি যোদ্ধাদের নিয়ে বিএটি গঠন করা হয়েছে।