চীন সীমান্তে ভারতের দীর্ঘতম সেতু উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ক্ষমতার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে চীন সীমান্তে দীর্ঘতম সেতু উদ্বোধন করেছে ভারত। লোহিত নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে এ সেতু।

>>রয়টার্স
Published : 26 May 2017, 12:39 PM
Updated : 26 May 2017, 12:48 PM

বলা হচ্ছে, বিতর্কিত অরুণাচল প্রদেশ ও উত্তর-পূর্ব আসামকে সংযোগকারী ৯ দশমিক ১৫ কিলোমিটারের এ ধলা-শদিয়া সেতুটিই এখন এশিয়ার সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু। শুক্রবার ভূপেন হাজারিকার নামে এটি উদ্বোধন করা হয়।

ধলা থেকে শদিয়ার দীর্ঘ পথ জুড়ে তৈরি এ সেতুর ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের কৃষি-অর্থনীতির উন্নতি হবে বলে মনে করছে সরকার।

সেতুটিতে ট্যাঙ্ক চলাচলের পরিকাঠামো থাকায় এটির ওপর দিয়ে চলে যেতে পারবে ৬০ টন ওজনের যুদ্ধট্যাঙ্ক। ফলে শুধু সাধারণ মানুষই নয়, সেনাবাহিনীর কাছেও এ সেতু গুরুত্বপূর্ণ।

অরুণাচলের উত্তর দিকে রয়েছে চীন সীমান্ত। ফলে এ অঞ্চল থেকে ভারতের মূলভাগের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে ধলা-শদিয়া সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

২০১১ সাল থেকে ২,০৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতু নির্মাণ করেছে ভারত। সেতুটি উদ্বোধন হওয়ায় মানুষের দীর্ঘ সাত বছরের অপেক্ষার অবসান হয়েছে। এতে করে ব্যাপক মাত্রায় অর্থনৈতিক উন্নয়নের দ্বার খুলে গেছে বলে জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরণ রিজিজু সাংবাদিকদের বলেছেন,“চীন দিন দিন আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে। ফলে আমাদের ভূখণ্ড রক্ষায় ভৌত অবকাঠামো শক্তিশালী করার এখনই সময়।”

চীন বরাবরই অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। তারা একে দক্ষিণ তিব্বতও বলে থাকে। সম্প্রতি তিব্বতের ধর্মীয় নেতা দালাইলামার অরুণাচল সফর এবং সেখানে সামরিক অবকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে চীন তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে।

কিন্তু ভারত বরাবরই অরুণাচলে নিজেদের হাত শক্তিশালী করার পক্ষ সমর্থন করে আসছে।

বিবিসি জানায়, ধলা-শাদিয়া সেতুর সঙ্গে ভারত একটি দুই লেনের আন্ত-অরুণাচল মহাসড়কও নির্মাণ করছে। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধযুগের রাস্তা উন্নয়নের চেষ্টা নিয়েছে ভারত।

পাশাপাশি রাস্তা চওড়া করার আরও চারটি প্রকল্পসহ ভারী বিমান পরিবহণের আরেকটি প্রকল্পও হাতে নিয়েছে সরকার।