নেটো সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলসে পৌঁছানোর পর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ট্রাম্প একথা বলেন।
তথ্য ফাঁসের বিষয়টি “যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় মারাত্মক হুমকি” বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। তথ্য কিভাবে ফাঁস হল তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
ম্যানচেস্টারের কনসার্টে সোমবার রাতের হামলার ছবি এবং হামলাকারীর নাম যুক্তরাজ্যের ইচ্ছা ছাড়া আগেভাগেই যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়ার পর ট্রাম্প এ মন্তব্য করলেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এবং নিরাপত্তা বাহিনী মার্কিন গণমাধ্যমে তথ্য ফাঁসের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে এর জন্য দোষারোপও করেছে যুক্তরাজ্য।
এরই প্রতিক্রিয়ায় ব্রাসেলসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, “তথ্য ফাঁসের এমন ঘটনা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে না।”
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’ও ব্রাসেলসের নেটো সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্পকে উদ্বেগ জানানোর কথা রয়েছে মে’র।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের বিচারবিভাগকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আর সেইসঙ্গে সঠিক পরিস্থিতিতে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের কাঠগড়ায়ও দাঁড় করানো উচিত বলে জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে বিশেষ সম্পর্কের চেয়ে কাম্য তার কাছে আর কিছুই হতে পারে না বলে জানান ট্রাম্প।
বিবিসি জানিয়েছে, হামলার ধ্বংসাবশেষের ছবি নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশের পর যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
হামলার ২৪ ঘন্টা পর আত্মঘাতী হামলাকারী সালমান আবেদির নাম যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের কাছে ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর ঘটনার শুরু। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই তথ্যগুলো ফাঁস করা হয়েছিল।
নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত ফাঁস হওয়া ছবিগুলোতে বিস্ফোরিত বোমার একটি রক্তমাখা টুকরা ও বোমাটি লুকিয়ে নিতে যে ব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছিল তা দেখা গেছে। এই ছবি প্রকাশের পর যুক্তরাজ্য সরকার ও দেশটির পুলিশ প্রধান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
বিবিসির নিরাপত্তা প্রতিনিধি গর্ডন কোরেরা জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তাদের বিশ্বাস তথ্যগুলো হোয়াইট হাউস থেকে ফাঁস হয়নি, তথ্যগুলো ফাঁসের জন্য সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্রের আইন প্রয়োগকারীরাই দায়ী।