এ বৈঠক খুবই চমৎকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। বৈঠকে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে দুইজনের মধ্যে মতবিনিময় হয়েছে বলে জানিয়েছে ভ্যাটিকান।
পোপের সঙ্গে এর আগে ট্রাম্পের অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত প্রাচীর নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছিল। ট্রাম্পের নীতি নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন পোপ। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে খোলা মন নিয়ে বৈঠক করারও আশা পোষণ করেছিলেন তিনি।
বুধবার সফরের একেবারে শেষ সময়ে ট্রাম্প ও তার সফরসঙ্গীরা ভ্যাটিকানের বৈঠকে অংশ নিতে হাজির হন।
সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, বৈঠকে ট্রাম্প শান্ত মেজাজে ছিলেন। অন্যদিকে, পোপকে বৈঠকে অতটা উচ্ছ্বসিত দেখা যায়নি যেমনটি বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তাকে কখনও কখনও দেখা যায়।
৩০ মিনিটের ব্যক্তিগত বৈঠকের শেষ দিকে দুইজনকেই অনেকটা স্বস্তিজনক অবস্থায় দেখা গেছে।
ভ্যাটিকান পরে জানিয়েছে, পোপ এবং ট্রাম্প দুইজনই বৈঠকশেষে মানবজীবনের কল্যাণ, ধর্মীয় স্বাধীনতাসহ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষাক্ষেত্রে মানুষের সেবা এবং শরণার্থীদের প্রতি সহায়তার হাত বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর মধ্যে বিশ্বে রাজনৈতিক আলোচনা এবং নানা ধর্মের মানুষের মধ্যে সংলাপের মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার করা নিয়ে পোপ ও ট্রাম্প মতবিনিময় করেছেন।
বৈঠকের পর একে অপরকে উপহার দেন পোপ ও ট্রাম্প।
পোপকে ট্রাম্প দেন প্রয়াত নাগরিক অধিকারের নেতা মার্টিন লুথার কিং এর একসেট লেখনী।
আর পোপ ফ্রান্সিস ট্রাম্পকে একটি জলপাই গাছের ভাস্কর্য উপহার দিয়ে বলেন, ‘আমি চাই আপনি (ট্রাম্প) জলপাই গাছের মত করে শান্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করুন।
এছাড়া, বিশ্ব শান্তি দিবসে পোপ তার দেওয়া বার্তার একটি স্বাক্ষরিত কপিও ট্রাম্পের হাতে তুলে দেন। সেইসঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে পরিবেশকে সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে পোপের কয়েকটি লেখনীও ট্রাম্পকে দেওয়া হয়।
ট্রাম্প পোপকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘ঠিক আছে, আমি এগুলো পড়ব।’