সোমবার রাতে ওই হামলার পর মঙ্গলবার টেলিগ্রামে ইসলামিক স্টেটের দায় স্বীকারের ওই বার্তা আসে বলে রয়টার্সের খবর।
সেখানে বলা হয়, ম্যানচেস্টার এরিনায় ‘ক্রুসেডারদের এক জমায়েতে’ একটি বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছিলেন আইএস এর কথিত ‘খিলাফতের একজন সৈনিক’।
গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ এর আগে বলেছিল, এরিনায় হামলাকারী ছিলেন একজন। তিনি একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বহন করছিলেন এবং বিস্ফোরণে তিনি নিজেও নিহত হন। সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর নাম সালমান আবেদি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে কনসার্ট শেষ হওয়ার পরপরই ওই বিস্ফোরণে আট বছর বয়সী একটি মেয়েসহ ২২ জন নিহত এবং ৫৯ জন আহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের ২৩ বছর বয়সী পপ তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডের গান শুনতে এসেছিলেন তারা।
ইউরোপের সবচেয়ে বড় ইনডোর স্টেডিয়াম ম্যানচেস্টার এরিনা কনসার্ট ভেন্যু হিসেবেও জনপ্রিয়। একসঙ্গে প্রায় ২১ হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আরিয়ানা গ্রান্ডে তার পরিবেশনা শেষে মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার পরপরই এরিনার প্রবেশপথের কাছে বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটলে আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়।
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের আড়াই সপ্তাহ আগে এই ঘটনায় ভোটের প্রচার স্থগিত করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। বিশ্ব নেতারা বিবৃতি দিয়ে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
এই হামলায় জড়িত সন্দেহে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণকে দক্ষিণ ম্যানচেস্টার থেকে আটক করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
২০০৫ সালের ৭ জুলাই লন্ডনের চারটি স্থানে একই সময়ে আত্মঘাতী হামলায় ৫২ জন নিহত হওয়ার পর ম্যানচেস্টারের এ ঘটনাই যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা।
তিনি বলেন, হামলাকারী একা ছিল, নাকি সে একটি নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে কাজ করছিল তা জানতে কাজ করছেন তদন্তকারীরা।
ম্যানচেস্টারের ঘটনার পর লন্ডনের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে বলে মেয়র সাদেক খান জানিয়েছেন।