ম্যানচেস্টার এরিনায় ‘বোমা পেতেছিল’ আইএস

যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার এরিনায় কনসার্টে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ২২ জনকে হত্যার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গি দল ইসলামিক স্টেট।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2017, 12:29 PM
Updated : 23 May 2017, 07:29 PM

সোমবার রাতে ওই হামলার পর মঙ্গলবার টেলিগ্রামে ইসলামিক স্টেটের দায় স্বীকারের ওই বার্তা আসে বলে রয়টার্সের খবর।

সেখানে বলা হয়, ম্যানচেস্টার এরিনায় ‘ক্রুসেডারদের এক জমায়েতে’ একটি বিস্ফোরক পুঁতে রেখেছিলেন আইএস এর কথিত ‘খিলাফতের একজন সৈনিক’।

গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ এর আগে বলেছিল, এরিনায় হামলাকারী ছিলেন একজন। তিনি একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বহন করছিলেন এবং বিস্ফোরণে তিনি নিজেও নিহত হন।  সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর নাম সালমান আবেদি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে কনসার্ট শেষ হওয়ার পরপরই ওই বিস্ফোরণে আট বছর বয়সী একটি মেয়েসহ ২২ জন নিহত এবং ৫৯ জন আহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের ২৩ বছর বয়সী পপ তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডের গান শুনতে এসেছিলেন তারা।

ইউরোপের সবচেয়ে বড় ইনডোর স্টেডিয়াম ম্যানচেস্টার এরিনা কনসার্ট ভেন্যু হিসেবেও জনপ্রিয়। একসঙ্গে প্রায় ২১ হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আরিয়ানা গ্রান্ডে তার পরিবেশনা শেষে মঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার পরপরই এরিনার প্রবেশপথের কাছে বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটলে আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু হয়ে যায়।

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের আড়াই সপ্তাহ আগে এই ঘটনায় ভোটের প্রচার স্থগিত করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। বিশ্ব নেতারা বিবৃতি দিয়ে এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এক বিবৃতিতে বলেন, “ম্যানচেস্টার আর এ দেশের মানুষ যে একটি নির্মম সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। অসহায় কিশোর-তরুণরা ছিল এই হামলার লক্ষ্য।” 

এই হামলায় জড়িত সন্দেহে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণকে দক্ষিণ ম্যানচেস্টার থেকে আটক করেছে ব্রিটিশ পুলিশ। তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

ঠিক দুই মাস আগে গত ২২ মার্চ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কাছে এক জঙ্গি হামলায় পুলিশসহ পাঁচজন নিহত হন, আহত হন অন্তত ৪০ জন। আইএস এর পক্ষ থেকে সেই হামলারও দায় স্বীকার করা হয়েছিল।

২০০৫ সালের ৭ জুলাই লন্ডনের চারটি স্থানে একই সময়ে আত্মঘাতী হামলায় ৫২ জন নিহত হওয়ার পর ম্যানচেস্টারের এ ঘটনাই যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা।

গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশের চিফ কনস্টেবল ইয়ান হপকিন্স বলেছেন, তার শহরের মানুষকে এরকম ভয়াবহ ঘটনার মুখোমুখি আর কখনও হতে হয়নি।    

তিনি বলেন, হামলাকারী একা ছিল, নাকি সে একটি নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে কাজ করছিল তা জানতে কাজ করছেন তদন্তকারীরা।

ম্যানচেস্টারের ঘটনার পর লন্ডনের নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে বলে মেয়র সাদেক খান জানিয়েছেন।