এনটিভি জানিয়েছে, সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত মেজর লিতুল গোগৈকে ‘কমেন্ডেশন কার্ড’ দিয়ে পুরস্কৃত করেছেন।
সম্প্রতি কাশ্মিরে প্রতিবাদ চলাকালে এক ব্যক্তিকে জিপের বনেটে বেঁধে রেখে ‘মানব ঢাল’ বানিয়েছিলেন মেজর গোগৈ।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রগুলো বলেছে, “মেজর গোগৈকে বিদ্রোহ দমনাভিযানে অবদান রাখার জন্য চীফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস) কমেন্ডেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে।”
বিদ্রোহ দমনে তার বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে ৯ এপ্রিল শ্রীনগরের উপনির্বাচনের সময় কাশ্মিরের বুদগামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীর জিপের বনেটে বাঁধার বিষয়টিও বিবেচনা করা হয়েছে।
বাহিনীটির সূত্রগুলো জানিয়েছে, ৫৩ রাষ্ট্রীয় রাইফেলের ওই মেজর নিজের সেনাদের নিয়ে একটি এলাকা পার হওয়ার সময় তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফারুক আহমেদ দর নামের স্থানীয় এক ব্যক্তিকে নিজের গাড়ির বনেটে বেঁধে নেন, ওই এলাকাটিতে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে তখন ব্যাপক পাথর ছুড়ছিল প্রতিবাদকারীরা।
সেনাবাহিনীর জিপের সামনে দরকে বসিয়ে বেঁধে এগোনোর সময় পাথর ছোড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং আর কোনো ঘটনা ছাড়াই সেনাবহরটি ওই এলাকা পার হতে সক্ষম হয়।
১৫ এপ্রিল এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করে সেনাবাহিনী, যার প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর সূত্রগুলো জানিয়েছে, যাকে উপযুক্ত মনে করবেন তাকেই কমেন্ডেশন কার্ড দেয়ার ক্ষমতা সেনাপ্রধানের আছে, এক্ষেত্রে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে কি-না তা বিবেচ্য নয়।
শুক্রবার ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলিও মেজর গোগৈর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বলেন, ওই দিন উপনির্বাচনের দায়িত্বে থাকা লোকজনের জীবন রক্ষার দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
ওই ঘটনার ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে ব্যাপক বির্তক তৈরি হয়। এই ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিতে রাজ্য পুলিশকে নির্দেশ দেন জম্মু ও কাশ্মির রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংও ঘটনাটি খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন।
এ ঘ্টনার বিষয়ে ১৫ এপ্রিল একটি এফআইআর দায়ের করে জম্মু ও কাশ্মিরের পুলিশ। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য একটি তদন্ত দল গঠন করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।