মধ্যপ্রাচ্যে এই সফরে ফিলিস্তিনি এলাকাগুলোও পরিদর্শন করবেন তিনি, জানিয়েছে বিবিসি।
ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে আরব-ইসলামিক-আমেরিকান সম্মেলনে আরব ও মুসলিম নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেয়ার পর তিনি ইসরায়েল যান।
মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে টানা নয়দিনের এই সফরে দুই দিন তিনি ইসরায়েলে অবস্থান করবেন। এ সময় ইসরায়েলি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি নেতাদের সঙ্গেও বসবেন তিনি।
সোমবার জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। পরদিন মঙ্গলবার বেথেলহেমে ফিলিস্তিনি নেতা মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
ট্রাম্পের সফরকে কেন্দ্র করে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি চুক্তিকে ‘চূড়ান্ত চুক্তি’ বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প, কিন্তু এই চুক্তির বাস্তবায়ন কীভাবে হবে সেই বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি।
এই বিষয়টি দুপক্ষের ওপর ছেড়ে দিয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের সরাসরি কথা বলে বিষয়ংটি মিমাংসা করে নেয়াটাই ঠিক হবে বলে মত দিয়েছেন তিনি।
রোববার রিয়াদের সম্মেলনে ইসলামিক জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আরব ও মুসলিম দেশগুলোকে নেতৃত্ব গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “তাদের এই পৃথিবী থেকে দূর করে দিন।”
ইরানকে লক্ষ্য করে তিনি বলেন, “কয়েক দশক ধরে তারা এ অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক হানাহানি ও সন্ত্রাসে ইন্ধন যুগিয়ে আসছে।”
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব, এটি তিনি বিশ্বাস করেন বলে জানিয়েছেন।
এসব কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার চেয়ে ট্রাম্পকে ইসরায়েলের প্রতি অধিক নমনীয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ফিলিস্তিনিদের দখলকৃত এলাকায় ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের বিষয়ে নমনীয়তা দেখিয়েছেন তিনি এবং জেরুজালেমের বিষয়ে মিশ্র ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন।
পুরো জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে মনে করে ইসরায়েল। কিন্তু পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের রাজধানী হিসেবে দাবি করে ফিলিস্তিনিরা। বিশ্ব সম্প্রদায় জেরুজালেমের ওপর ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বের স্বীকৃতি দেয়নি, তাই নিজেদের দূতাবাস তেল আবিবেই রেখে দিয়েছে তারা।
কিন্তু ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। তার এ প্রতিশ্রুতি ফিলিস্তিনিদের ক্ষুব্ধ আর ইসরায়েলিদের উল্লসিত করেছে।