শনিবারের এ অস্ত্র চুক্তি রিয়াদে ট্রাম্পের প্রথমদিনের সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানিয়েছেন, অস্ত্র চুক্তি ও অন্যান্য বিনিয়োগ চুক্তি মিলিয়ে মোট চুক্তির আর্থিক মূল্য ৩৫ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত দাঁড়াতে পারে।
দেশে এফবিআই প্রধানকে বরখাস্ত করার পর ট্রাম্প যে রাজনৈতিক আগুন জ্বালিয়েছেন, তার থেকে মনোযোগ সরাতে শুক্রবার থেকে নয়দিনের মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ সফরে বেরিয়েছেন তিনি।
নয়দিনের এ সফরে সৌদি আরব থেকে ইসরায়েল হয়ে ইতালি ও বেলজিয়াম যাওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের।
সফরে সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আব্দুলআজিজ আল সৌদ ট্রাম্পকে লক্ষ্যণীয় উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। ট্রাম্পকে বহনকারী বিমান ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ রিয়াদে নামার পর বিমানের সিড়িতে যেয়ে তাকে স্বাগত জানান, ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়ার সঙ্গে হাত মেলান এবং ট্রাম্পের লিমুজিনে চড়ে গন্তব্যে যান।
তারপর শনিবার প্রায় সারা দিন তিনি ট্রাম্পের সঙ্গেই ছিলেন।
ট্রাম্পের সঙ্গে বাদশা সালমানের বৈঠককে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও পরাস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্কের ‘একটি টার্নিং পয়েন্টের শুরু’ বলে অভিহিত করেছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আদেল আল জুবেইর।
ইরানকে প্রতিরোধ করার লক্ষ্যেই অস্ত্র চুক্তিটি করা হয়েছে বলে তিনি ও টিলারসন পরিষ্কার করে জানিয়েছেন। তারা একথা যে দিন জানান সেই দিনটিতেই হাসান রুহানি দ্বিতীয়বারের মতো ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
ট্রাম্পের সৌদি সফর নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, সৌদি সফরের দ্বিতীয় দিন রোববার রিয়াদে আঞ্চলিক নেতাদের এক সম্মেলনে ভাষণ দিবেন ট্রাম্প।
ভাষণে তিনি ইসলামের উগ্রবাদ মোকাবেলা কেন জরুরি তা নিয়ে কথা বলবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইয়ে সমর্থন বাড়ানোর উদ্যোগে ভাষণে তিনি ‘সহযোগিতামূলক ভাষায়’ কথা বলবেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সিএনএন-র এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ট্রাম্প প্রশাসন যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, সেই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাটি যে ব্যক্তি লিখেছিলেন, সেই উপদেষ্টা স্টিফেন মিলারই ট্রাম্পের রোববারের ভাষণটি লিখেছেন, যার মূল বক্তব্য ইসলাম ধর্ম নিয়ে।