বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক আদালতের রায় পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে গেছে। কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ডে স্থগিতাদেশ জারি হয়েছে। আর এর জেরেই বিষয়টি নিয়ে ঝড় উঠেছে পাকিস্তানে।
সরকার কুলভূষণ মামলা ঠিকমত সামাল দিতে পারেনি বলে তীব্র সমালোচনা করছেন বিরোধীদলীয় নেতারা।
ভারত কুলভূষণের মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার পর পাকিস্তান সব ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে বলে যুক্তি দিচ্ছেন অনেকে। আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা জোরাল যুক্তি দিতে পারেনি বলেই মানছেন তারা।
দুইজন বিরোধীদলীয় নেতা আদালতে পাকিস্তানের আত্মপক্ষ সমর্থনে দুর্বলতার জন্য ভারতীয় ধনকুবের সজ্জন জিন্দালের (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বন্ধু হিসাবে পরিচিত) সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের বৈঠককে দুষেছেন।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা শাফকাত মেহমুদ প্রধানমন্ত্রী শরীফকে ভারতীয় ধনকুবের জিন্দালের সঙ্গে বৈঠকের বিস্তারিত খুঁটিনাটি প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কুলভূষণ যাদব মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতের রায় ওই শরীফ-জিন্দাল বৈঠকেরই ফল।
তাছাড়া, আন্তর্জাতিক ন্যাবিচার আদালতে (আইসিজে) যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য একজন আনাড়ি আইনজীবীকে বেছে নেওয়ার জন্যও মেহমুদ সরকারের সমালোচনা করেন।
আরেক পিটিআই নেতা শিরিন মাজারি পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবেই ভারতের স্বার্থকে এগিয়ে নেওয়ার খেলায় নামার অভিযোগ করেছেন। জিন্দালের পাকিস্তান সফরের পরই এ খেলা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পাকিস্তানের প্রধান বিরোধী দল পিপিপি-র ভাইস প্রেসিডেন্ট শেরি রহমানও পাক সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন। পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা আন্তর্জাতিক আদালতে নিজেদের অবস্থান ঠিক মতো তুলেই ধরতে পারেননি বলে তার দাবি।
কামিল আলি আগা নামের আরেক বিরোধীদলীয় নেতা কুলভূষণ যাদব মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক পরাজয় বলে অভিহিত করেছেন।