বিবিসি জানিয়েছে, লন্ডন, ব্ল্যাকবার্ন, নটিংহ্যাম, গ্যালওয়ে ও হার্টফোর্ডশায়ারসহ বিভিন্ন এলাকায় এনএইচএস এর হাসপাতাল ও ট্রাস্টগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম থমকে গেছে এই জটিলতার কারণে।
এসব হাসপাতালের কর্মীরা তাদের নেটওয়ার্কে রোগীদের তথ্য দেখতে পারছেন না। রোগীদের নিয়ে আসা অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হচ্ছে অন্য হাসপাতালে। অনেক জায়গায় জরুরি চিকিৎসা ছাড়া অন্য সব সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের সাক্ষাতের সূচিও বাতিল করা হয়েছে।
এনএইচএস ইংল্যান্ড জানিয়েছে, তারা এই জটিলতা সারাতে কাজ করছে এবং শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।
যুক্তরাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য সেবা কাঠামোর চারটি ইউনিটের মধ্যে এনএইচএস ইংল্যান্ড সবচেয়ে বড় সংস্থা, যার আওতাধীন হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায়।
গার্ডিয়ান লিখেছে, এনএইচএস নেটওয়ার্ক আক্রান্ত হওয়ার পর এই সিস্টেমে যুক্ত কম্পিউটারগুলোর স্ক্রিনে একটি পপ আপ মেসেজ ভেসে ওঠে, যেখানে নেটওয়ার্কের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
টুইটারে এনএইচএস এর একজন কর্মীর পোস্ট করা একটি ছবিও গার্ডিয়ান প্রকাশ করেছে, যেখানে কম্পিউটার স্ক্রিনে ‘র্যানসমওয়্যার’ আক্রমণের বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এক এনএইচএস কর্মীর বরাত দিয়ে গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টায় প্রথমে তাদের ইমেইল সার্ভার ক্র্যাশ করে। এরপর নেটওয়ার্কের ক্লিনিক্যাল ও পেশেন্ট সিস্টেমও অচল হয়ে যায়।
কম্পিউটার স্ক্রিনে আসা একটি বিটকয়েন ভাইরাস পপ-আপে বলা হয়, মেশিনের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে ব্যবহারকারীকে ৩০০ ডলার দিতে হবে।
এরপর এনএইচএস ট্রাস্টের সকল কর্মীকে তাদের কম্পিউটার বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।
‘ওয়ানা ডিক্রিপটর’ ম্যালওয়্যারের নতুন একটি সংস্করণের মাধ্যমে এই র্যানসমওয়্যার ছড়ানো হয়েছে বলে এনএইচএস ডিজিটালের ধারণা।
তবে এনএইচএস নেটওয়ার্ক কীভাবে আক্রান্ত হল এবং কারা এর পেছনে রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।