গত বুধবার নিজেদের মাঠে ২-১ ব্যবধানে জেতে আতলেতিকো। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে কার্ডিফের ফাইনালে ওঠে রিয়াল। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে সেমি-ফাইনালে দুই গোলের ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারেনি কেউ। সম্ভাবনা জাগিয়ে আতলেতিকোও পারেনি। তবু নিগেস-গ্রিজমানদের নিয়ে গর্বিত সিমেওনে।
“আমরা আমাদের সবটুকু দিয়েছিলাম; গত কয়েক বছর ধরে আমরা তা করছি। প্রতিদিন ঘুম থেকে জেগে উঠা এবং ম্যাচের পরিকল্পনা করা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপাধারীদের বিপক্ষে লড়েছি। ম্যাচটা থেকে আমরা শিখেছি এবং এটা থেকে আমরা উন্নতি করব।”
“আমরা কেমন সেটা দেখাতে পেরে আমি খুশি এবং গর্বিত। আমরা লড়াই করেছিলাম, আমরা স্পেনের তৃতীয় দল। আমরা দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলেছি। গত সপ্তাহে (প্রথম লেগে) আমরা ভয়াবহ ফল পেয়েছিলাম কিন্তু বিশ্বাস করেছিলাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব। কিছু লোক ভেবেছিল আমরা গুলিয়ে ফেলছি কিন্তু আমরা তা করিনি।”
“শুরুর ৩০, ৩৫ মিনিট এখানকার মানুষের মনে অনেক দিন থাকবে। একটা ভুলের সুযোগ তারা (রিয়াল) নিল, গোল করল এবং ফুটবলে এটা হয়। কালদেরনের আজ রাতের জাদু অনেক দিন আমার মনে থাকবে।”
“আমাদের খেলোয়াড়দের বড় একটা হৃদয় আছে এবং তারা যেটা দিয়েছে, সেটা বিস্ময়কর। আজ (বুধবার) একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন-যদিও আমরা ছিটকে গেছি কিন্তু হারিনি। এটা আমাদের বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।”
২০১৪ ও ২০১৬ সালের ফাইনালে রিয়ালের কাছে হেরে স্বপ্ন গুঁড়িয়েছিল আতলেতিকোর। এবার নগর প্রতিপক্ষের কাছে হেরে বিদায় দিল সেমি-ফাইনাল থেকে। সিমেওনে স্বপ্ন ভাঙার কারণ হিসেবে জানালেন রিয়ালের মাঠের ফলের কথা।
“আমি মনে করি না, গত সপ্তাহে (প্রথম লেগে) আমাদের খেলাটা সঠিক ছিল। বের্নাবেউয়ে আমরা যথেষ্ট ভালো ছিলাম না। আমাদের দলটা দলীয় খেলা নির্ভর। রিয়াল মাদ্রিদ নির্ভর করে তাদের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে দেখানো খেলোয়াড়দের ওপর। আজ আমরা ভালো খেলেছি এবং দারুণ কিছু অর্জনের কাছাকাছিও ছিলাম।”
হতাশা ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বার্তাও শিষ্যদের দিয়েছেন সিমেওনে।
“যেটা অনুভব করি, আমি সেটাই বলি। আমি গর্ব অনুভব করছি। আমি মনে করি, ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় উপরের দিকে থাকাটা সাফল্য। আমরা ইউরোপা লিগ, সুপার কাপ, কোপা দেল রে জিতেছি। আমরা অনেক বেড়ে উঠেছি এবং আরেকটু এগুতে হবে আমাদের।”