বুধবার মস্কোয় একটি নিরাপত্তা সম্মেলনে শোইগু সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার বিষয়ে রাশিয়া আগের অবস্থানেই আছে জানিয়ে দৃঢ়কণ্ঠে আবারও বলেন, “ওই হামলা আন্তর্জাতিক আইনের নিষ্ঠুর লঙ্ঘন ছিল।”
গত ৪ এপ্রিল সিরিয়ায় ইদলিবে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত খান শেইখৌন শহরে রাসায়নিক হামলায় অন্তত ৯০ জন নিহত হওয়ার পর ‘নিরপরাধ মানুষের ওপর রাসায়নিক হামলার’ জবাব দিতে সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ায় ছয় বছরের গৃহযুদ্ধে এটিই বাশার আল-আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের প্রথম সরাসরি হস্তক্ষেপ ছিল।
ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছিল, সিরিয়ার বিমানঘাঁটিতে হামলা চালানোর আগে সেখানে অবস্থান করা রুশ সেনাদের হামলার বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। হামলায় রাশিয়ার কোনও সেনা আহত হয়নি।
শোইগু বলেন, “ওয়াশিংটনের অভিযান সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত রুশ সেনাদের জীবনও হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছিল। এ ধরনের পদক্ষেপ রুশ সেনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের বাড়তি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ অভিযোগ করে বলেছিলেন, ওই হামলা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ থেকে মাত্র একধাপ দূরে ছিল।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আর জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছে।