‘ইসরায়েলি বাহিনীকে আক্রমণের পর ক্ষমা চেয়েছিল আইএস’

ইসরায়েলের দখলকৃত গোলান মালভূমিতে দেশটির সেনাদের আক্রমণ করেছিল ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা, কিন্তু পরে জঙ্গিগোষ্ঠীটি ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ করে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের সাবেক এক প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলুফায় এক অনুষ্ঠানে দেশটির সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে ইয়া’আলোন এ কথা বলেছেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)। 

ইয়া’আলোন বলেছেন,“ সম্প্রতি একটি ঘটনায় দায়েশ (আইএস) গুলিবর্ষণ করার পর ক্ষমা চায়।”

গত নভেম্বরে সিরিয়ার সীমান্তে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের একটি ঘটনা ঘটেছিল, ইয়া’আলোন সম্ভবত সেই ঘটনার ইঙ্গিত করেছেন বলে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

ওই ঘটনায় আইএস সমর্থিত জঙ্গিদের সঙ্গে ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিবিনিময় হয়েছিল।

সংক্ষিপ্ত বন্দুকযুদ্ধের পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জঙ্গিদের ওপর বিমান হামলা ও ট্যাঙ্ক থেকে গোলা নিক্ষেপ করেছিল, এতে চার জঙ্গি নিহত হয়।

ওই সময় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, ইসরায়েলের ভিতরে সামরিক বাহিনীর টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিল জঙ্গিরা, এতে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে আইএস জঙ্গিদের মুখোমুখি লড়াই শুরু হয়েছিল।

ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েল সংলগ্ন সিরিয়ার সীমান্ত এলাকার একটি শহর ও কয়েকটি গ্রাম দখল করে নেয় খালিদ ইবন আল-ওয়ালিদ আর্মি নামের সিরিয়ার একটি জঙ্গিগোষ্ঠী, এই গোষ্ঠীটি ২০১৬ মে মাসে আইএসের আনুগত্য ঘোষণা করেছিল।

ইসরায়েল ও অধিকাংশ পশ্চিমা রাষ্ট্র খালিদ ইবন আল-ওয়ালিদ আর্মিকে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে। এ ধরনের কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ ইসরায়েলি আইনানুযায়ী অপরাধ।

ওই হামলার পর কীভাবে আইএস ইসরায়েলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছিল তার বিস্তারিত জানতে চাইলে তা জানাতে অস্বীকার করেন ইয়া’আলোনের এক মুখপাত্র। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।

আইএস ও অন্যান্য জঙ্গিগোষ্ঠীকে ইসরায়েল সরাসরি রসদ সরবরাহ করে থাকে বলে অভিযোগ করে আসছে সিরীয় কর্মকর্তারা, তবে ইসরায়েল সব সময়ই তা অস্বীকার করে আসছে।