প্রত্যাশিত সময়ের আগেই বুধবার একাজ শুরু করার পর স্থানীয় কয়েকশত বাসিন্দা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
আসছে ৯ মে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন; এই নির্বাচনে জনমত জরিপে এগিয়ে থাকা প্রার্থী মুন জায়ে-ইনও এ তৎপরতার নিন্দা জানিয়েছেন।
তার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ‘জনগণের মতামত ও যথাযথ প্রক্রিয়াকে’ উপেক্ষা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মুন এবং পরবর্তী প্রশাসন দায়িত্বভার গ্রহণ করে তাদের নীতি নির্ধারণ না করা পর্যন্ত এই মোতায়েন প্রক্রিয়া স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবিলায় গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের টার্মিনাল হাই অ্যালটিটুড এরিয়া ডিফেন্স (থাড) ব্যবস্থা মোতায়েনে সম্মত হয় দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, থাডের কিছু উপাদান দেশের দক্ষিণাঞ্চলের একটি এলাকায় পাঠানো হচ্ছে যেখানে এক সময় একটি গল্ফ কোর্স ছিল।
এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয়টি বলেছে, “উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির প্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থাড সিস্টেমকে প্রাথমিকভাবে অভিযানে সক্ষম করে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে।”
চলতি বছরের শেষ দিকে প্রতিরক্ষা এই পদ্ধতিটি কার্যকর হয়ে উঠবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে দেখা গেছে, সামরিক ট্রেইলারে করে ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটির বড় ধরনের কিছু ইউনিট রাজধানী সিউলের ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে পরিকল্পিত মোতায়েন স্থলের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় প্রতিবাদকারীরা সামরিক যানগুলোর দিকে পানির বোতল ছুড়ে মারছে আর পুলিশ তাদের আটকানোর চেষ্টা করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র থেকে রক্ষার জন্য দরকারি বিবেচনায় এই ক্ষেপণাস্ত্র-বিধ্বংসী ব্যবস্থা মোতায়েন করা হচ্ছে এবং ‘যত দ্রুত সম্ভব’ এই মোতায়েনের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে।