যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সিরিয়ার সায়েন্টিফিক স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের (এসএসআরসি) ২৭১ কর্মীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি কথা বলা হয়ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ওয়াশিংটনের ধারণা, ওই সংস্থাটি সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের হয়ে রাসায়নিক অস্ত্রের উন্নয়ন করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কালো তালিকাভূক্ত ওই ব্যক্তিদের কয়েকজন পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্র প্রকল্পে কাজ করছেন।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকগুলোকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া, আমেরিকার যেসব কোম্পানির তাদের সঙ্গে লেনদেন আছে তাদেরও নিষিদ্ধ করার কথা বলা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন বলেন, “ভয়ঙ্কর রাসায়নিক হামলা চালিয়ে সিরিয়ার একনায়ক বাশার আল-আসাদকে হাজার হাজার নিরপরাধ পুরুষ, নারী ও শিশুকে হত্যা করতে সহায়তাকারী বৈজ্ঞানিক সেন্টারের বিরুদ্ধে এগুলো দীর্ঘমেয়াদী নিষেধাজ্ঞা।”
সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত একটি শহরে রাসায়নিক হামালার পর আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে এটি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ব্যবস্থা।
গত ৪ এপ্রিল সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত খান শেইখৌন শহরে রাসায়নিক হামলায় প্রায় ৯০ জন প্রাণ হারায়।
সিরিয়ার সরকারি বাহিনী ওই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ দেশটির বিরোধী পক্ষ এবং যুক্তরাষ্ট্রের।
যদিও সিরীয় সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ওই হামলার জবাব দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।