আরটিএস,এস নামের টিকাটি শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে ম্যালেরিয়ার জীবানুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করবে। এ টিকা বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করবে বলে আশাবাদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
তবে টিকাটি বিশ্বের অতি গরিব দেশগুলোতে কাজে লাগানো সম্ভব হবে কিনা তা এখনও পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি।
মোট চারটি ডোজে এই টিকা দেওয়া হবে। পরপর তিন মাসে তিন ডোজ এবং ১৮ মাস পর চতুর্থ ডোজ।
ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় কড়া নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে এই টিকার প্রয়োগ সফল হলেও বাস্তবে এর প্রয়োগ ঠিকমত করা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে। বিশেষ করে বিশ্বের যেসব জায়গায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ সীমিত সেখানে এর সঠিক প্রয়োগ নিয়ে শঙ্কা আছে।
একারণেই প্রথম তিনটি দেশে এ টিকা চালুর জন্য ডব্লিউএইচও পাইলট প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে। দেশগুলোতে ম্যালেরিয়ার টিকা পুরোপুরি চালু করা যাবে কিনা এর সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখতেই এ ব্যবস্থা। সেইসঙ্গে টিকাটি কতটা নিরাপদ এবং ফলপ্রসূ হচ্ছে তাও পরীক্ষা করে দেখা হবে।
ডব্লিউএইচও’র আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক ডা. মাতশিদিসু মোয়েতি বলেন, “ম্যালেরিয়ার টিকা দান কার্যক্রম শুরু করা দারুণ খবর।”
“পাইলট প্রকল্প থেকে পাওয়া তথ্যের সাহায্যে বিশ্বজুড়ে ম্যালেরিয়ার টিকা দান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।”
এ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ মাস থেকে ১৭ মাস বয়সের সাড়ে সাত লাখের বেশি শিশুকে ম্যালেরিয়ার টিকা দেওয়া হবে।