প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনির ঘোষণা অনুযায়ী রোববার আফগানিস্তানজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর মাজার ই শরীফ শহরের ওই সেনা ঘাঁটিতে চালানো হামলাটি এ পর্যন্ত দেশটির কোনো সেনা ঘাঁটিতে চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী জঙ্গি হামলা।
শনিবার আক্রান্ত ঘাঁটিটি পরিদর্শন করেন প্রেসিডেন্ট গনি। এ সময় তিনি এক দিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেন।
আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ওই হামলায় শতাধিক সৈন্য নিহত অথবা আহত হওয়ার কথা জানালেও হতাহতের কোনো নির্দিষ্ট সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দেশটির এক সামরিক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ওই হামলায় অন্তত ১৪০ জন সৈন্য নিহত ও বহু আহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্যান্য কর্মকর্তারা।
অনলাইনে দেওয়া এক বিবৃতিতে হামলার নিন্দা করে তিনি একে ‘কাপুরুষোচিত’ এবং ‘কাফেরদের’ কাজ বলে বর্ণনা করেছেন।
ঘটনার দিন প্রায় ১০ জনের মতো তালেবান জঙ্গি আফগান সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরে সামরিক জিপ চালিয়ে ঘাঁটিটিতে প্রবেশ করে। তারা রকেট চালিত গ্রেনেড ও স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে দুপুরের আহার গ্রহণরত ও জুমার নামাজ শেষে মসিজদ বের হতে থাকা নিরস্ত্র সেনাদের ওপর নির্বিচার গুলিবর্ষণ করে।
এ সময় কয়েকজন হামলাকারী আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছেন আফগান সেনা কর্মকর্তারা।
হামলাকারীদের প্রকৃত পরিচয় জানা না থাকায় এবং তারা সেনাদের মতো পোশাক পরে থাকায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সেনারা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যায়, এ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা অনেককে হত্যা করে।