শুক্রবার দেশটির ন্যাশনাল গ্রিড এ তথ্য জানিয়ে কয়লা ব্যবহার না করার এ দিনটিকে ‘সন্ধিক্ষণ’ বলে বর্ণনা করেছে, খবর বিবিসির।
এর আগে গত মে মাসে সর্বোচ্চ ১৯ ঘন্টা কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন থেকে বিরত ছিল দেশটি, বৃহস্পতিবারও ওই পর্বের পুনরাবৃত্তি করে ১৯ ঘন্টা কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
আর শুক্রবার পুরো ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা ব্যবহার করা থেকে বিরত ছিল যুক্তরাজ্য।
কার্বন নিগর্মণ হ্রাস করার লক্ষ্যে ২০২৫ সালের মধ্যে সর্বশেষ কয়লা বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পটিও বন্ধ করে দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির সরকার।
১৮৮২ সালে লন্ডনের হোলবর্ন ভিয়াডাক্টে বিশ্বের প্রথম কয়লা চালিত সরকারি বৈদ্যুতিক জেনারেটর চালু করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে তারপর থেকে এই প্রথমবারের মতো দেশটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকলো।
দেশটির ন্যাশনাল গ্রিডের কোর্ডি ও’হারা বলেন, “শিল্প বিপ্লব শুরু হওয়ার পর থেকে এই প্রথম পুরো একটি কার্যদিবস কয়লাবিহীন কাটল, আমাদের শক্তি উৎপাদন পদ্ধতি পরিবর্তিত হওয়ার পথে এটি একটি সন্ধিক্ষণ।”
তবে ও’হারা জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য নিম্ন মাত্রার কার্বন উৎপাদন পদ্ধতির দিকে অগ্রসর হতে থাকা সত্বেও এখনও শক্তি উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে কয়লার ব্যবহার অব্যাহত থাকবে।