নিম্ন আদালতকে দুই বছরের মধ্যে এ মামলার বিচার শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (সিবিআই) আবেদন মঞ্জুর করে বিচারপতি পিনাকী চন্দ্র ঘোষ ও এরএফ নরিমনের বেঞ্চ বুধবার এই আদেশ দেয় বলে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের উগ্র ডানপন্থি করসেবকরা বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেয়।
মসজিদ ধ্বংসের ওই ঘটনায় ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা চলছে লক্ষ্ণৌর দায়রা আদালতে। আর উত্তেজক বক্তব্য দিয়ে করসেবকদের মসজিদটি ভাঙতে উসকে দেওয়ার অভিযোগ ষড়যন্ত্রের মামলাটি চলছে উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলির আদালতে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছেন, রায়বেরেলির আদালত আদভানি, যোশী, উমা ভারতীসহ ২১ জনকে ওই মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর এলাহাবাদ হাই কোর্টও তা বহাল থাকে। এরপর সিবিআই সুপ্রিম কোর্টে গেলে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত থেকে মামলা চালানোর নির্দেশ এল।
আদালতের আদেশে বলা হয়, দুটি মামলার বিচার একসঙ্গে লক্ষ্ণৌর দায়রা আদালতে চলবে। দুই বছরের মধ্যে বিচার শেষ করে রায় দিতে হবে। এ জন্য প্রতিদিন শুনানি চালাতে হবে।
এনডিটিভি জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট আদভানিদের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর নির্দেশনা দিলেও বিজেপি নেতা কল্যাণ সিংকে এর বাইরে রেখেছে। ১৯৯২ সালে উত্তর প্রদেশের মুখমন্ত্রী থাকা কল্যাণ সিং বর্তমানে রাজস্থানের গভর্নরের দায়িত্বে থাকায় সাংবিধানিক সুরক্ষা পাচ্ছেন। অফিস ছাড়ার আগ পর্যন্ত তাকে বিচারের মুখোমুখি করা যাবে না।
তবে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত লক্ষ্ণৌ আদালতের ওই বিচারককে বদলি না করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের সিবিআই বলছে, যেদিন বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়, সেদিন কাছেই একটি মঞ্চ থেকে বিজেপি নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার প্রমাণ তাদের কাছে আছে।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ওই ঘটনার আগের রাতে আদভানিসহ বিজেপির জ্যেষ্ঠ নেতারা বৈঠক করেন। সেখানেই মসজিদটি ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্ত হয়।
ফলে মসজিদ ভাঙার বিষয়টি তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা ছিল না এবং পরিকল্পিতভাবে ওই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে সিবিআইয়ের অভিযোগ।
বাবরি মসজিদ ভাঙার পর হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে ভারতজুড়ে প্রায় দুই হাজার মানুষ নিহত হয়।