উত্তর কোরিয়ার দিকে যাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্রের রণতরীবহর

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস কার্ল ভিনসন ও বহরের অন্যান্য যুদ্ধজাহাজ উত্তর কোরিয়ার দিকে যাচ্ছে না, বরং উল্টো দিকে যাচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 April 2017, 06:29 AM
Updated : 19 April 2017, 06:44 AM

এমনটিই প্রকাশ পেয়েছে বলে বুধবার জানিয়েছে বিবিসি ও অন্যান্য সংবাদ মাধ্যমগুলো।

৮ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী জানিয়েছিল, শক্তি প্রদর্শন করে নতুন অস্ত্র পরীক্ষা থেকে উত্তর কোরিয়াকে বিরত রাখতে তাদের নৌ-স্ট্রাইক গ্রুপ কার্ল ভিনসন সিঙ্গাপুর থেকে পূর্ব সূচী অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার দিকে না গিয়ে উল্টো দিকে কোরীয় উপদ্বীপের দিকে রওনা হয়েছে।

গত সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেছিলেন, “উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে একটি আর্মাডা (নৌবহর) পাঠানো হয়েছে।” 

কিন্তু বাস্তব হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ওই নৌ-স্ট্রাইক গ্রুপটি গত কয়েকদিনে প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে না গিয়ে ভারত মহাসাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই পথে বর্তমানে সুন্দা প্রণালী পার হচ্ছে নৌবহরটি।

মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় কমান্ড জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার পার্থ বন্দরের সফর বাতিল করেছে তারা, কিন্তু ৮ এপ্রিল সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হওয়ার পর সূচী অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলে দেশটির সঙ্গে একটি প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে।

এখন আদেশ অনুযায়ী স্ট্রাইক গ্রুপটি ‘পশ্চিম প্রশান্ত মহাসগারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে’।

উত্তর কোরিয়ার দিকে না যাওয়ার বিষয়টি ‘ইচ্ছাকৃত ছলচাতুরি’ কিনা তা পরিষ্কার নয় বলে মন্তব্য করেছে বিবিসি।

বিবিসির কোরিয়া সংবাদাতা স্টিফেন ইভান্স জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ভয় দেখানোর পরিকল্পনা করার পর সম্ভবত পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হয়েছে অথবা কোনো যোগাযোগ ব্যর্থতার কারণে এমন হয়েছে।   

উত্তর কোরিয়ার নতুন অস্ত্র পরীক্ষা ঠেকাতে কোরীয় উপদ্বীপের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবহর রওনা হওয়ার খবরে কোরীয় উপদ্বীপ ও আশপাশের অঞ্চলজুড়ে চরম উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। উত্তর কোরিয়া আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করলে তা ঠেকানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্র আগ বাড়িয়ে কোনো হামলা চালালে ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ শুরু করার হুমকি দিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধামকিতে নতুন কোনো যুদ্ধের সূচনার সম্ভাবনায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল।