মঙ্গলবার নিজেদের মাঠে মোনাকোর বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ খেলতে রওনা হয়েছিল ডর্টমুন্ডের ফুটবল দল, এ সময় ‘বিস্ফোরক ভরা তিনটি বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটানো হয়’ বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তিনটি বিস্ফোরকের মধ্যে একটিতে ধারাল ধাতব টুকরাও ছিল। এখন পর্যন্ত হামলার দায় স্বীকার করে দুটো চিঠি খুঁজে পাওয়া গেছে। সেগুলো নিয়েও তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন কৌসুলিরা।
জার্মানির কেন্দ্রীয় কৌঁসুলির কার্যালয়ের মুখপাত্র বলেন, “ইসলামপন্থি সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে সামনে রেখে আমরা তদন্তে অগ্রসর হচ্ছি। তাদের দুজনের অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি করা হয়েছে। দুইজনের মধ্যে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধরা হয়েছে।”
তিনি বলেন, বিস্ফোরণস্থলের কাছে পাওয়া চিঠিগুলোর বক্তব্য প্রায় এক এবং চিঠির বক্তব্য হামলার সঙ্গে ইসলামপন্থিদের জড়িত থাকার আভাস দিচ্ছে।
জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল এ হামলাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
জার্মানির স্থানীয় সময় সন্ধ্যা প্রায় ৭টার দিকে হকস্ট শহরের কাছে এ হামলা হয়।
বিস্ফোরণে দলের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্ক বার্ত্রা আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ডর্টমুন্ড। বার্সেলোনার সাবেক এই ফুটবলারকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তার কব্জির একটি হাড় ভেঙে যাওয়ায় অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। তবে দলের অন্য কোনো খেলোয়াড় আঘাত পাননি।
বার্ত্রার পাশাপাশি বাসটির পাহারায় নিয়োজিত মোটরবাইক আরোহী এক পুলিশ কর্মকর্তাও আহত হয়েছেন। বিবিসি’র খবরে বলা হয়, এ ঘটনাকে সন্ত্রাসী হামলা বলে বিবেচনা করে তদন্ত চলছে। তবে এখন পর্যন্ত এর পেছনের কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বিস্ফোরণের পর ডর্টমুন্ড এক টুইটে জানায়, “হোটেলের কাছে টিম বাসে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়।”
ডর্টমুন্ড শহরের পুলিশ জানায়, টিম বাসের আশপাশে তিনটি বিস্ফোরণ হয়েছে। বাসের জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে এবং একজন আহত হয়েছে। প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বাসটির জানালার কাঁচ ভেঙে গেছে ও চাকা ফেটে গেছে।
এক সংবাদ সম্মেলনে ডর্টমুন্ড পুলিশের প্রধান বলেছেন, দলটিকে লক্ষ্য করেই হামলাটি চালানো হয়েছে।
প্রকাশিত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি ঝোপের ভিতরে বিস্ফোরকগুলো লুকিয়ে রাখা হয়েছিল।