ওবামার জলবায়ু নীতি বাতিল করছেন ট্রাম্প, পরিবেশবাদীদের হুঁশিয়ারি

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নতুন এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ আদেশে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জলবায়ু নীতির মূল অংশগুলো বাতিল হয়ে যাবে।

>>রয়টার্স
Published : 28 March 2017, 03:40 PM
Updated : 28 March 2017, 03:40 PM

ওবামার প্রশাসনের নেওয়া ‘ক্লিন পাওয়ার প্ল্যান’ নামক দুষণবিরোধী নীতি বাতিলের নির্বাহী আদেশ দিচ্ছেন ট্রাম্প। মঙ্গলবারই এ আদেশে সই করার কথা।

ওবামা প্রশাসনের ওই নীতির আওতায় বিভিন্ন রাষ্ট্র কার্বন নির্গমন কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল।

এ নীতি থেকে সরে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার কারণে ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পরিবেশবাদীরা। তারা এ পদক্ষেপকে বিপজ্জনক আখ্যা দিয়েছে এবং এটি বিশ্বের স্বচ্ছ জ্বালানি প্রযুক্তির ধারার বিপরীতে বলে উল্লেখ করেছে।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থার বাজেট কমবে এবং তেল, গ্যাস ও কয়লা উৎপাদন বিধিও পুনপর্যালোচনা করে দেখা হবে।

অর্থনীতিতে ক্ষতির যুক্তি দেখিয়ে ট্রাম্প আগেই জলবায়ু নীতি থেকে সরে আসার কথা বলেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারাভিযানেও তিনি ২০১৫ সালে ডিসেম্বরে স্বাক্ষরিত প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার অঙ্গীকার করেছিলেন।

হোয়াইট হাউস বলছে, “নতুন উদ্যোগ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে জ্বালানি এবং বিদ্যুতকে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য ও স্বচ্ছ রাখতে সহায়ক হবে।”

তবে পরিবেশবাদীরা সতর্ক করে বলছেন, এটি ঘরে-বাইরে মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে।

জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ওবামা এবং ট্রাম্পের নীতিতে মিল খুবই সামান্য।

ওবামা মনে করতেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি ‘বাস্তব এবং এটিকে অবহেলা করা যাবে না’।

প্যারিসে জলবায়ু চুক্তির আওতায় কয়লা চালিত বিদ্যুৎ প্রকল্পে গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্র স্বচ্ছ বিদ্যুৎ পরিকল্পনা নিয়েছিল।

কিন্তু সে সময়  এ বিষয়টিতে আপত্তি জানিয়েছিল রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেস। এমনকি এটা নিয়ে আদালতে মামলা পর্যন্ত হয়েছে। বিশেষ করে তেল, কয়লা ও গ্যাস ভিত্তিক কারখানাগুলো ওবামা প্রশাসনের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়।

যে কারণে গতবছর যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ওবামার জলবায়ু পরিকল্পনার উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ওবামার পরিকল্পনা বাতিলের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ চাকরি হারানো থেকে রক্ষা পাবে এবং আমদানিকৃত জ্বালানির উপর আমেরিকার নির্ভরতা কমবে।

“যুক্তরাষ্ট্রেই (প্রয়োজনীয়) শক্তি উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট সামনে অগ্রসর হবেন। আগের প্রশাসন তাদের নীতিতে শ্রমিকদের মূল্যহ্রাস করেছে। আমরা জনগণকে তাদের কাজের নিশ্চয়তা দেওয়ার পাশপাশি জলবায়ু রক্ষা করব।”