জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ট্রাম্প জামাতা কুশনার

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মস্কোর যোগসাজশ নিয়ে তার জামাতা ও হোয়াইট হাউসের শীর্ষ উপদেষ্টা জেরার্ড কুশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিনেটের ইন্টিলিজেন্স কমিটি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 March 2017, 06:18 AM
Updated : 28 March 2017, 06:18 AM

বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিজয়ের পর ঊর্ধ্বতন রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে করা দুটি বৈঠক নিয়ে কুশনারকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিনেট ইন্টিলিজেন্স কমিটি।

তবে হোয়াইট হাউজ বলছে, প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা কুশনার স্বেচ্ছায় তদন্ত দলের মুখোমুখি হতে চেয়েছেন।

গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ ছিল কী না, সিনেটের এই কমিটি তা খতিয়ে দেখছে।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের ধারণা, নির্বাচনে রাশিয়ার হ্যাকাররা হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে ট্রাম্পকে জয়ী করতে ভূমিকা রেখেছে।

রাশিয়া শুরু থেকেই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে; আর ট্রাম্প একে ‘মিথ্যা গল্প’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন।

অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস দুটি তদন্ত কমিটি করেছে,  এফবিআইও বিষয়টি নিয়ে পৃথকভাবে তদন্ত করছে।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত সার্গেই কিসলিয়াকের সঙ্গে গত বছরের ডিসেম্বরে নিউ ইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে হওয়া প্রথম বৈঠকে ট্রাম্পের প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনও উপস্থিত ছিলেন বলে হোয়াইট হাউজ পরে জানিয়েছিল।

রাশিয়ার সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগে ফেব্রুয়ারিতে ফ্লিন পদত্যাগ করেন।

কিসলিয়াকের সঙ্গে কুশনারের ওই বৈঠক ট্রাম্পের জামাতার অনুরোধে হয়েছিল বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রথম বৈঠকের পর কিসলিয়াকের অনুরোধে কুশনার রাশিয়ার রাষ্ট্র মালিকানাধীন ভেনশেকোনোম ব্যাঙ্কের প্রধান সের্গেই এন গোরকোভের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকও করেন।  ক্রিমিয়া ও ইউক্রেন ইস্যুতে ভেনশেকোনোম ব্যাঙ্কের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

ডিসেম্বরের শেষে হওয়া দ্বিতীয় বৈঠকে কুশনার প্রথমে তার পক্ষে প্রতিনিধি পাঠাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিলেও পরে নিজেই উপস্থিত হন বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে।

সিনেট কমিটি এগুলো নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

হোয়াইট হাউজের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীর জয়ের পর রাশিয়া এবং অন্যসব দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে করা কুশনারের বৈঠকগুলো ছিল দৈনন্দিন কার্যক্রমের অংশ, সেখানে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো আলাপ হয়নি।

হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র শন স্পাইসার বলেছেন, কুশনার চাইলে নির্বাহী অধিকার বলে জিজ্ঞাসাবাদ এড়াতে পারতেন। কিন্তু তিনি সেই সুযোগ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

সোমবার স্পাইসার বলেন, নির্বাচনী প্রচারের সময় ৩৬ বছর বয়সী কুশনার ছিলেন ‘নেতার কাছে পৌঁছানোর প্রথম ধাপ, এ কারণে বিদেশি কর্মকর্তাদের অনেকের সঙ্গেই তাকে দেখা করতে হয়েছে।

কুশনারের সঙ্গে রাশিয়ার যোগসাজশের এই অভিযোগ নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য আরেকটি ধাক্কা হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।