রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগের দাবিতে দেশজুড়ে নাভালনির ডাকা বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে পুলিশ রোববার বিরোধীদলীয় নেতাসহ ৫শ’ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানায়। মানবাধিকার গ্রুপগুলো এ সংখ্যা আরও বেশি ১ হাজার বলে জানিয়েছে।
এ ব্যাপক ধরপাকড়ের মুখেই ইইউ সোমবার বিক্ষোভকারীদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায়। ইইউ মুখপাত্র বলেছেন, রাশিয়ার পুলিশের কর্মকান্ডে বাকস্বাধীনতা চর্চা ব্যাহত হচ্ছে। লঙ্ঘিত হচ্ছে শান্তির্পর্ণভাবে সমাবেশ করার অধিকারসহ রাশিয়ার সংবিধান সম্মত মৌলিক অধিকারগুলো।
এক বিবৃতিতে ইইউ বলেছে, “আমরা রাশিয়া কর্তৃপক্ষকে তাদের আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি পুরিপূর্ণভাবে মেনে চলা... এবং শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে নামা যেসব মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদেরকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
যুক্তরাষ্ট্রও রাশিয়ার মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য এক বিবৃতিতে রাশিয়া কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে।
৫ বছরের মধ্যে রাশিয়ায় রোববারই সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে। বিরোধী দলীয় নেতা নাভালনির দাবি, রাশিয়ার ৯৯ টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ৭৭টিতেই স্থানীয় প্রশাসন বিক্ষোভ মিছিল আয়োজনের অনুমতি দেয়নি।
বিবিসি’র খবরে বলা হয়, নাভালনি সেন্ট্রাল মস্কোতে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দিতে আসলে পুলিশ তাকে আটক করে। তার সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় অন্যান্য বিক্ষোভকারীকেও।
বিক্ষোভকারীরা নাভালনিকে বহনকারী পুলিশ ভ্যান আটকানোর চেষ্টা করলে পুলিশ আরও কয়েকজনকে আটক করে। পুলিশ তুলে নিয়ে যাওয়ার পর এক টুইটে নাভালনি বিক্ষোভকারীদের আন্দোলন চলিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
নাভালনিকে গ্রেপ্তারের পর সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। তাকে ২০ হাজার রুবল জরিমানাও করা হয়েছে। নাভালনি আবারও প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন।
২০১৮ সালে রাশিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে লড়াইয়ে নামার ঘোষণা দিয়েছেন নাভালনি।
তবে কোনও মামলায় যদি তিনি দোষী সাব্যস্ত হন নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। তিনি বলছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে।