রোহিঙ্গা নিপীড়নের তদন্ত করবে জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ শিগগিরই মিয়ানমারে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অপরাধের তদন্ত করবে।

>>রয়টার্স
Published : 24 March 2017, 05:11 PM
Updated : 24 March 2017, 09:21 PM

রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে রোহিঙ্গদের হত্যা, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের শিকার হওয়ার অভিযোগ তদন্তে একটি আন্তর্জাতিক সত্যানুসন্ধান মিশন পাঠাতে শুক্রবার একমত হয়েছে পরিষদ।

কিন্তু সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত হিন লিন ‘এ পদক্ষেপ মেনে নেওয়া যায় না’ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেন। মিয়ানমার খোদ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে জানান তিনি।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ ভোট ছাড়াই রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের প্রস্তাবনা গ্রহণ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছিল। এতে সমর্থন দেয় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের জন্য দায়ীদের পূর্ণ জবাবদিহিতা এবং নিপীড়নের শিকারদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

চীন এবং ভারত জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেনি। অন্যদিকে, মানবাধিকার কর্মীরা এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তবে এটি পূর্ণ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন নয় বলে দুঃখ প্রকাশ করেছে তারা। সেইসঙ্গে সরকারকে তদন্তে সহযোগিতা করার আহ্বানও জানিয়েছে।

গত অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোঙ্গিাদের মধ্য থেকে কয়েকজন রোহিঙ্গার সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে গতমাসে জাতিসংঘের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের গণহারে হত্যা করছে, ধর্ষণ করছে। এটি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের নামান্তর বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ জরুরি ভিত্তিতে নিরপেক্ষ সত্যানুসন্ধানী টিম মিয়ানমারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ তদন্তদলটি সেপ্টেম্বরেই আরও নতুন তথ্য দেবে এবং বছরের শেষ নাগাদ পূর্ণ প্রতিবেদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে বিবিসি’র মিয়ানমার বিষয়ক সংবাদদাতা বলছেন, মিয়ানমার এখনও এ তদন্ত আটকে দিতে পারে।

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির দলের এক মুখপাত্র সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ‘অতিরঞ্জিত’ আখ্যা দিয়েছেন এবং রোহিঙ্গা ইস্যুটি মিয়ানমারের ‘অভ্যন্তরীন’ বিষয়, ‘আন্তর্জাতিক’ নয় বলে মন্তব্য করেছেন।