বিবিসির খবরে বলা হয়, সিউলের সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, “উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের বিষয়ে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র সজাগ আছে এবং উৎক্ষেপণ ব্যর্থ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো উৎক্ষেপণের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিস্ফোরিত হয়ে গেছে, এটি শনাক্ত করার কথা নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী।
উত্তর কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর ওনসান থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণগুলো চালানো হয়েছিল বলে জানা গেছে, তবে কতগুলো ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল এবং পরীক্ষাটি কোন ধরনের ছিল তা পরিষ্কার নয়।
দিন দিন পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সংখ্যা বাড়িয়ে তুলছে উত্তর কোরিয়া। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টায় এসব পরীক্ষা করছে দেশটি।
চলতি মাসের প্রথমদিকে চারটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছিল উত্তর কোরিয়া, সেগুলো ১০০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাপানি জলসীমায় গিয়ে পড়েছিল।
দেশটির সর্বশেষ এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার চলমান বার্ষিক সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করছে পর্যবেক্ষকরা। এই সামরিক মহড়াকে তাদের ওপর আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে বিবেচনা করে উত্তর কোরিয়া।
যে কোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক পরীক্ষা থেকে উত্তর কোরিয়াকে বিরত রাখার জন্য দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রেখেছে জাতিসংঘ। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দেশটি ধারাবাহিকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে।