সোমালিয়ায় অনাহারে অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু

দক্ষিণ সোমালিয়ার আধা-স্বায়ত্তশাসিত জুব্বাল্যান্ড অঞ্চলে অনাহারে দেড় দিনে অন্তত ২৬ জন মারা গেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত রেডিওর ওয়েবসাইটে এ খবর জানানো হয়েছে।

>>রয়টার্স
Published : 21 March 2017, 08:26 AM
Updated : 21 March 2017, 08:28 AM

আফ্রিকার ওই অঞ্চলের অনেক দেশের মতো সোমালিয়াও মারাত্মক খরার কবলে পড়েছে। খরার আঘাতে গৃহপালিত পশুর মৃত্যু হয়েছে, মাঠের ফসল শুকিয়ে গেছে এবং প্রায় ৬২ লাখ মানুষকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে। 

জুব্বাল্যান্ডজুড়ে তীব্র খরা চলতে থাকায় শত শত পরিবার সাহায্যের আশায় রাজধানী মোগাদিশুতে চলে গেছে।

রেডিওর ওয়েবসাইটে জুব্বাল্যান্ডের সহ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হুসেইনের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, প্রবল খরার কারণে সোমবার ৩৬ ঘন্টা সময়ের মধ্যে ওই লোকজনের মৃত্যু হয়। মৃতদের সবাই মধ্য জুব্বার বিভিন্ন ছোট শহর ও গেদো এলাকার বাসিন্দা। 

“এই এলাকাগুলোর লোকজনের জরুরি সহয়তা প্রয়োজন,” বলেন হুসেইন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত শহরগুলো আল শাবাব জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায়। কট্টরপন্থি এই জঙ্গিগোষ্ঠীটি মোগাদিশু সরকারকে উৎখাতে সহিংস লড়াই চালিয়ে আসছে।

মঙ্গলবার জুব্বাল্যান্ড থেকে রাজধানীতে পৌঁছানো একদল লোকের মধ্যে নয় সদস্যের একটি পরিবার ছিল।

এই পরিবারের কর্তা ৬২ বছর বয়সী ইব্রাহিম আবদৌ জানিয়েছেন, তারা গাধায় ও বাসে চড়ে রাজধানীতে এসেছেন।

মোগাদিশুর শহরতলীর একটি গাছের নিচে আশ্রয় নেওয়া আবদৌ বলেন, “আমাদের গরুগুলো মরে গেছে। আমাদের খামারটি ধ্বংস হয়ে গেছে। নদীগুলো শুকিয়ে গেছে, আর আমাদের আশপাশে কোনো কুয়াও নেই।”

মোগাদিশুর বাসিন্দারা শহরে এসে আশ্রয় নেওয়া পরিবারগুলোকে রুটি ও পানি সরবরাহ করছে। কিন্তু ওই পরিবারগুলো বলছে, ত্রাণ সংস্থাগুলোর উচিত জরুরিভিত্তিতে খাবার বিতরণ করা।

চলতি মাসে জাতিসংঘের প্রধান বলেছেন, সোমালিয়াকে দুর্ভিক্ষের হাত থেকে বাঁচাতে ধনী দেশগুলোর আরো পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

দুর্ভিক্ষ মোকাবিলায় আট কোটি ২৫ লাখ ডলারের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে তিনি বলেছেন, ত্রাণ সহায়তা না বাড়ালে সন্ত্রাস আরো বাড়বে।