শনিবার ওই ব্যক্তি অর্লি বিমানবন্দরে টহলরত নিরাপত্তা বাহিনীর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হন।
এই ঘটনার জেরে ফ্রান্সের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দরটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে সব লোকজনকে বের করে দেওয়া হয়েছিল।
কৌঁসুলি ফ্রাঁসোয়া মোলিন্স জানান, জায়েদ বিন বেলগাসেম নামের ওই ব্যক্তি ওইদিন সকালে বিমানবন্দরটিতে উপস্থিত হন। পেট্রলের কন্টেইনার ভরা একটি ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে বিমানবন্দরে টহলরত সামরিক দলের বিমান বাহিনীর সদস্য এক নারীকে জাপটে ধরে তার মাথায় নিজের এয়ার পিস্তল ঠেকান।
এ সময় অন্যান্য সৈন্যরা গুলি করে বেলগাসেমকে হত্যা করে।
“আততায়ী ওই নারী সৈনিকের ফেমাস অ্যাসাল্ট রাইফেলটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল, এতে ধারণা করা হচ্ছে সে গুরুতর একটি হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল”, এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন মলিন্স।
“সিসিটিভির ছবিতে যা দেখা গেছে, তাতে মনে হয় সে হামলা চালালে বদ্ধপরিকর ছিল। সবকিছুই সাক্ষ্য দেয় সে ফেমাস রাইফেলটি হস্তগত করে লোকজনকে মারতে চেয়েছিল।”
নিহত বেলগাসেমের (৩৯) শরীরে তল্লাশি চালিয়ে একটি কোরান শরিফ ও নগদ ৭৫০ ইউরো পাওয়া গেছে। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কয়েক গ্রাম কোকেইন, একটি চাপাতি ও কিছু বিদেশি মুদ্রা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মলিন্স।
তার বাবা, ভাই ও এক চাচাতো ভাইকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গেছে পুলিশ।