১৪ বছর পর উত্তরপ্রদেশের মদনদ ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হাতে ফেরায় বেশ আড়ম্বর করেই শপথ নিয়েছেন আদিত্যনাথ।
শনিবার বিকালে উত্তর প্রদেশের নবনির্বাচিত বিধায়কদের নিয়ে এক বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আদিত্যনাথের নাম ঘোষণা করে দলটি, খবর এনডিটিভি, আনন্দবাজারের।
রোববার দুপুর সোয়া ২টায় লক্ষ্ণৌয়ে রাজ্যটির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন আদিত্যনাথ। পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরাও এ সময় শপথ নেন।
লক্ষ্ণৌর শ্রীমতি উপভবন কমপ্লেক্সের এই শপথ অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ্ এবং দলটির অন্যান্য নেতারাসহ ১১টি বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
আদিত্যনাথের উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে দুজনকে; এদের একজন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি কেশব প্রাসাদ মৌর্য এবং অন্যজন লক্ষ্ণৌর মেয়র দিনেশ শর্মা।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নাম ঘোষণার পর ৪৬ বছর বয়সী আদিত্যনাথের বক্তব্য ছিল, “আমাকে এ পদের যোগ্য বিবেচনা করায় দল ও প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদ। ‘সবার সঙ্গে মিলে সবার বিকাশ’ তার এই নীতি মেনে উত্তর প্রদেশকে এগিয়ে নেব আমি।”
প্রায় এক সপ্তাহ আগে উত্তর প্রদেশের বিধানসভার নির্বাচনে ফল ঘোষিত হয়। ভারতের জাতীয় রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যটির নির্বাচনে বিজেপি বড় ধরনের জয় পায়। তারপর থেকে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী কে হতে যাচ্ছেন তা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, মনোজ সিনহা, কেশবপ্রসাদ মৌর্য, স্বতন্ত্রদেব সিংহ, সতীশ মাহানা এবং সুরেশ খন্নার মতো নেতাদের নাম উঠে আসে। কিন্তু সব জল্পনাকে ভুল প্রমাণ করে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে গোরক্ষপুর থেকে টানা পাঁচবারের নির্বাচিত সাংসদ যোগী আদিত্যনাথের নাম ঘোষণা করেন বিজেপি নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভেঙ্কাইয়া নাইডু।
ঘোষণায় নাইডু বলেন, “আদিত্যনাথ একজন বিশিষ্ট নেতা এবং তিনি বহুবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এই পদের জন্য তিনি অত্যন্ত যোগ্য। তার নাম প্রস্তাবের পর সব বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।”
গুরু গোরক্ষনাথ মন্দিরের পুরোহিত আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় ইন্ধন দেওয়া, ধর্মবিদ্বেষে প্ররোচনা ও হত্যার চেষ্টাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে একাধিক ফৌজদারি মামলা আছে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিতর্কিত উক্তির জন্যও আলোচিত তিনি।