গণভোট প্রচারে বাধা: অভিবাসন চুক্তি ছিন্নের হুমকি এরদোয়ানের

গণভোটের প্রচার নিয়ে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বিরোধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তুরস্ক-ইইউ অভিবাসন চুক্তি ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিজেপ তায়িপ এরদোয়ান।

নিউজডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2017, 10:23 AM
Updated : 17 March 2017, 10:23 AM

প্রেসিডেন্টের নির্বাহী ক্ষমতা আরও বাড়াতে সংবিধান সংশোধন নিয়ে ১৬ এপ্রিল তুরস্কে গণভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

প্রায় ৫৫ লাখ তুর্কি বিদেশে বসবাস করে। যাদের মধ্যে প্রায় ৪ লাখ নেদারল্যান্ডসে।

দেশের বাইরে বসবাস করা নাগরিকদের ভোট পক্ষে নিতে তুরস্কের মন্ত্রীরা ইউরোপের দেশগুলোতে সমাবেশ আয়োজন করেন।

কিন্তু নেদারল্যান্ডস সরকার তুর্কি মন্ত্রীদেরকে সমাবেশ করতে না দেওয়ার জেরে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

দুই পক্ষের কথার লড়াইয়ের পাশপাশি ডাচ রাষ্ট্রদূতকে নিষিদ্ধ করে আঙ্কারা।

নেদারল্যান্ডস ছাড়াও জার্মানি এবং ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশ তুরস্কের কর্মকর্তাদের গণভোটের প্রচার চালাতে বাধা দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

ইইউ ওই গণভোট আয়োজনের সমালোচনা করে বলেছে, এর ফলে প্রেসিডেন্টের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা চলে আসবে।

ইউরোপমুখী শরণার্থীদের ঢল নিয়ন্ত্রণে ২০১৬ সালের মার্চে অভিবাসন নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে একটি চুক্তিতে উপনীত হয় ইইউ।

চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, আঙ্কারা তুরস্ক হয়ে গ্রিসে প্রবেশ করা সব শরণার্থীকে ( যাদের মধ্যে সিরীয়রাও রয়েছে) ফেরত নেবে। বিনিময়ে ইইউ তুরস্ক থেকে সরাসরি কয়েক হাজার সিরীয় শরণার্থীকে ইউরোপে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে।

সেইসঙ্গে তুরস্ককে আরও অর্থ সহায়তা, দ্রুত ভিসা-মুক্ত ভ্রমণ এলাকায় প্রবেশের সুযোগ এবং ইইউ-র সদস্য পদ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা আবারও শুরু হবে।

এরদোয়ান বলেন, তুরস্কের নাগরিকদের ভিসা মুক্ত ভ্রমণের সুযোগ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে ইইউ।

“তারা এখন (শরণার্থীদের) ফেরত নিতে বলছে। কিসের ফেরত? এগুলো ভুলে যান।”

“আপনারা আমার মন্ত্রীদের নেদারল্যান্ডসে সমাবেশ করতে দেবেন না। আপনারা আমার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অবতরণের অধিকার হরণ করবেন। আপনারা দূতাবাসে আমাদের বৈঠক করতে বাধা দেবেন, যেটা কিনা আমাদের ভূমি। আর এত কিছুর পরও আপনারা আশা করছেন আমরা এটা (শরণার্থীদের ফেরত) করবো? এমনটা হচ্ছে না।”