ঘুষে এশিয়ায় শীর্ষে ভারত: টিআই

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতে সবচেয়ে বেশি ঘুষ লেনদেন হয় বলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল-টিআইর এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2017, 08:00 PM
Updated : 16 March 2017, 08:12 PM

১৮ মাস ধরে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলের ১৬টি দেশ, অঞ্চল ও টেরিটোরির ২০ হাজারের বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলে টিআই এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে ফোর্বস ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি ঘুষ প্রচলনের দেশগুলোর ওপর আলোকপাত করা হয়েছে ফোর্বসের প্রতিবেদনে।

এতে বলা হয়, সবচেয়ে বেশি ৬৯ শতাংশ ঘুষের হার ভারতে। দেশটিতে স্কুল, হাসপাতাল, পরিচয়পত্র, পুলিশ ও সেবা খাত-এই ছয় সরকারি সেবার পাঁচটির জন্য ঘুষ দিতে হয়েছে বলে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকের বেশি জানিয়েছেন।

এই তালিকায় ভারতের পরে এসেছে ভিয়েতনামের নাম। দেশটিতে ৬৫ শতাংশ সেবার ক্ষেত্রে ঘুষ দিতে হয়। ভিয়েতনামিরা দুর্নীতিকে দেখছেন মহামারী হিসেবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যে ১৬টি দেশে সমীক্ষাটি চালানো হয়েছে তার মধ্যে ভিয়েতনামের (এবং মালয়েশিয়া) জনগণই দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি হতাশা প্রকাশ করেছেন। প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, দুর্নীতি দমনে সরকার তেমন কিছু করছে না।

তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ড: সেখানে ঘুষের হার ৪১ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, সব পর্যায়ে এমনকি সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে লড়ছে থাইল্যান্ড। এই প্রেক্ষাপটে দেশটিতে ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা ২০১৫ সালে দুর্নীতি দমন আইন কঠোর করে। অবশ্য থাইল্যান্ডের জনগণ এখন বেশ আশাবাদী। মাত্র ১৪ শতাংশ মনে করে, গত ১২ মাসে দেশে দুর্নীতি বেড়েছে। আর প্রায় ৭২ শতাংশের মতে, সরকার দুর্নীতিবিরোধী লড়াই বেশ ভালোভাবেই সামলাচ্ছে।

চতুর্থ অবস্থানে থাকা পাকিস্তানে ঘুষের হার ৪০ শতাংশ। দেশটিতে সমীক্ষায় অংশ নেওয়াদের চার ভাগের তিন ভাগই মনে করেন, সব বা অধিকাংশ পুলিশই দুর্নীতিগ্রস্ত। যাদের পুলিশ বা আদালতে যেতে হয়েছে তাদের ১০ জনের মধ্যে সাতজনকেই ঘুষ দিতে হয়েছে। দুঃখজনকভাবে, এখানকার মানুষ মনে করে না যে অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে-মাত্র এক তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করেন সাধারণ মানুষের পরিবর্তন আনার সক্ষমতা রয়েছে।

ঘুষের দিক দিয়ে পঞ্চম অবস্থানে থাকা মিয়ানমারে এর হার ৪০ শতাংশ। প্রতিবেদনে বলা হয়, সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের প্রায় অর্ধেক মনে করেন সব বা অধিকাংশ পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত। ৪০ শতাংশ মনে করে বিচার বিভাগও দুর্নীতিগ্রস্ত।