আমেরিকান-ধাঁচের বেপরোয়া গুলি চালানোর কয়েকটি ভিডিও দেখার পর ১৭ বছর বয়সী ওই ছাত্র এ হামলা চালায় বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ছাত্রটিকে গ্রেপ্তার করে। তার কাছ থেকে একটি রাইফেল, দুটি হাতবন্দুক এবং দুটো গ্রেনেড উদ্ধার করা হয়েছে।
স্কুলের হেডমাস্টারই হামলার লক্ষ্য ছিল বলে ধারণা পুলিশের। দ্বিতীয় আর কোনও হামলাকারী আছে কিনা তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা এর আগে জানিয়েছিলেন, দুইজন স্কুলের প্রধানশিক্ষকের ওপর গুলি চালালে তিনি আহত হন। তারা জঙ্গি নয় বলে ধারণা পুলিশের। আটক ছাত্রটিও পুলিশের কাছে পরিচিত নয়।
তাছাড়া, হামলাকারী কয়জন ছিল তাও এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, দ্বিতীয় আরেকজনও গুলি ছুড়েছে। সে পলাতক রয়েছে। তবে অন্য আরও কয়েকটি খবরে একজন হামলাকারীর কথাই বলা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, “প্রাথমিক তদন্তে বলা হয়েছে, আটক যুবক বেপরোয়া গুলি চালিয়ে একসঙ্গে অনেকজনকে মেরে ফেলার আমেরিকান-ধাঁচের ভিডিও দেখার কথা বলেছে।”
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ফরাসি বেতারে তিনজন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না নেওয়া পর্যন্ত তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
স্থানীয় জরুরি সেবা সংস্থা শহরের অধিবাসীদেরকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। সরকারপক্ষ থেকে মোবাইলে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ সতর্কবাণী দেওয়া হচ্ছে।
নিস শহর থেকে ২৭ মাইল দূরের গাহাসো শহরের স্কুলে এ ঘটনা ঘটে। গত জুলাইয়ে নিস শহরে ট্রাক হামলায় ৮৬ জনের মৃত্যু হয়।
গত ১৮ মাসে একের পর এক প্রাণঘাতী হামলার পর থেকে ফ্রান্সে জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে।
এ পরিস্থিতির মধ্যেও স্কুলে গুলির এ ঘটনায় ফ্রান্সে নির্বাচনের এ আসন্ন সময়ে নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসের হমকির বিষয়টি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরুর পট প্রস্তুত হল।