মসুলের নুরি মসজিদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ইরাকি বাহিনী

মসুল পুনরুদ্ধারে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে লড়াইরত ইরাকি বাহিনী তাইগ্রিস নদীর প্রধান সেতুটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর শহরের গ্র্যান্ড নুরি মসজিদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

>>রয়টার্স
Published : 16 March 2017, 04:36 AM
Updated : 16 March 2017, 04:52 AM

২০১৪ সালে এই নুরি মসজিদ থেকেই তথাকথিত ‘ইসলামি খিলাফতের’ ঘোষণা দিয়েছিলেন আইএসের প্রধান আবু বকর আল বাগদাদি।

লোহার সেতু নামে পরিচিত তাইগ্রিসের প্রধান সেতুটি নিয়ন্ত্রণ নেয়ার মাধ্যমে মসুলে নদীটির পাঁচটি সেতুর মধ্যে তিনটির নিয়ন্ত্রণ ইরাকি বাহিনীর হাতে এল। এসব সেতু পূর্ব মসুলের সঙ্গে আইএস নিয়ন্ত্রিত পশ্চিম মসুলের সংযোগের প্রধান পথ।

গত বছর পূর্ব মসুলের লড়াইয়ের সময় এই লোহার সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ইরাকের কেন্দ্রীয় পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের র‌্যাপিড রেসপন্স ইউনিট সেতুটির দখল নেয় বলে পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

বুধবারের এসব অগ্রগতিতে মসুল অভিযান তার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে বলেই ধারণা করা হচ্ছে, ইরাকি প্রধানমন্ত্রী হায়দার আল আবাদিও একই কথা বলেছেন।

মঙ্গলবার রাতে বাগদাদে এক সংবাদ সম্মেলনে আবাদি বলেন, “দিন দিন একটি আঁটসাঁট এলাকার মধ্যে ঘেরাও হয়ে পড়ছে দায়েশ (আইএস)। চূড়ান্ত সময়ের মুখোমুখি তারা।”

জঙ্গিদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, হয় তারা আত্মসমর্পণ করবে অথবা মৃত্যুর মুখোমুখি হবে।

পশ্চিম মসুলের পুরনো শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত নুরি মসজিদের দিকে অগ্রসর হওয়ার পথে রাস্তায় রাস্তায় জঙ্গিদের সঙ্গে প্রচণ্ড লড়াই করে এগোতে হচ্ছে সরকারি বাহিনীকে। তাদের অগ্রগতিতে বাধা দিতে জঙ্গিরা আত্মঘাতী গাড়িবোমা, মর্টার ও স্নাইপার ফায়ার এবং ড্রোন থেকে গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে।

এক সময় এই পশ্চিম মসুলই ছিল ইসলামিক স্টেটের প্রধান শক্তিকেন্দ্র।

ইরাকের কেন্দ্রীয় পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তাদের বাহিনী ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নুরি মসজিদের ৮০০ মিটারের মধ্যে পৌঁছে গেছে।

২০১৪ সালের জুলাইয়ে এই নুরি মসজিদ থেকে ইসলামি খিলাফতের ঘোষণা দিয়ে নিজেকে এর খলিফা বলে দাবি করেছিলেন আল বাগদাদি। এর আগে ইরাক ও প্রতিবেশী সিরিয়ার তেল খনিগুলোসহ বিশাল অংশ দখল করে নিয়েছিল তার নেতৃত্বাধীন জঙ্গিগোষ্ঠীটি।

তাই মসুলের পতন সেই তথাকথিত ‘খিলাফতের’ রাজধানীর পতনের সামিল হবে যা মূলত ইরাকে আইএসের পরাজয় হিসেবেই গণ্য হবে।