বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টা আগে হাওয়াইয়ের ফেডারেল আদালত ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করে দেয় বলে জানানো হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।
ট্রাম্প প্রশাসন জাতীয় নিরাপত্তার যে দোহাই দিয়ে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারক ডেরিক ওয়াটসন।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই স্থগিতাদেশকে ‘অভূতপূর্ব বিচারিক কৌশল’ অ্যাখ্যায়িত করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় টেনেসির ন্যাশভিলে সমর্থকদের নিয়ে এক সমাবেশ শুরুর আগে ট্রাম্প বলেন, হাওয়াইয়ের আদালতের এই আদেশে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘আরও দূর্বল’ করবে।
এ বিষয়ে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও অঙ্গীকার করেছেন ট্রাম্প।
গত ৬ মার্চ জারি করা এই আদেশে ছয়টি দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে ৯০ দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারীদের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
শরণার্থীদের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ রাখা হয়েছে ১২০ দিন, যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ১৬ মার্চ থেকে।
এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে গত সপ্তাহেই মামলা করে হাওয়াই অঙ্গরাজ্য। জানুয়ারিতে ট্রাম্পের প্রথম নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধেও মামলা করেছিল হাওয়াই; নতুন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আগের মামলাই সংশোধন করে দাখিল করা হয়।
সংশোধিত আকারে দেওয়া ট্রাম্পের নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের লঙ্ঘন বলে অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।