দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ৯ মে

আগামী ৯ মে নতুন করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

>>রয়টার্স
Published : 15 March 2017, 03:49 PM
Updated : 15 March 2017, 03:49 PM

বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা।

পার্কের অভিশংসনের সিদ্ধান্তের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী ওয়াং কিও-আহন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তবে ৯ মের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি অংশ নেবেন না বলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জানিয়েছেন।

অতীতের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ওই নির্বাচন অধিক নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী হং ইউ-সিক।

বুধবার এক সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এই নির্বাচন নজিরবিহীন হবে।”

দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তিন মাস আগে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে প্রেসিডেন্ট পার্ককে অভিশংসনের যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, গত শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার সাংবিধানিক আদালত তা বহাল রাখে।

দুইদিন পর প্রেসিডেন্ট ভবন ছেড়ে নিজের বাড়িতে চলে যান দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পার্ক।

তবে অভিশংসিত হওয়ায় প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়মুক্তির সুযোগ হারিয়েছেন পার্ক। তিনি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী মঙ্গলবার পার্ককে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

এক বিবৃতিতে পার্কের আইনজীবী জানান, এ বিষয়ে তারা সহযোগিতামূলক মনোভাব দেখাবেন। যদিও ক্ষমতায় থাকার সময় প্রসিকিউটরদের প্রশ্নের উত্তর দিতে এবং নিজের অবস্থান জানাতে সাংবিধানিক আদালতে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন পার্ক।

তদন্তে কত সময় লাগবে সে বিষয়ে কৌসুঁলির কার্যালয় থেকে কিছু জানানো হয়নি। যদিও পার্ক বরাবরই কোনো ধরণের দুর্নীতিতে জড়িত না থাকার দাবি করে আসছেন।

রোববার ‘ব্লু হাউজ’ ছেড়ে যাওয়ার সময় এক বিবৃতিতে পার্ক বলেন, “সময় লাগবে, কিন্তু প্রকৃত সত্য একদিন প্রকাশ পাবে বলেই আমার বিশ্বাস।”

প্রেসিডেন্ট ভবন ছেড়ে যাওয়ার সময় পার্ক তার পোষা কুকুরগুলো সেখানেই ছেড়ে গেছেন। সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে আরেক বিতর্ক।

বিবিসি জানায়, পার্ক নয়টি কোরীয় জিনদো কুকুর পুষতেন। কুকুরগুলো ত্যাগ করে পার্ক প্রাণী সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে দাবি বুসান কোরিয়া অ্যালায়েন্সের। সংস্থাটি প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধে কাজ করে।

তবে প্রেসিডেন্ট ভবনের মুখপাত্র বিষয়টি নাকচ করে বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, কয়েকটি কারণে কুকুরগুলোকে এখানেই ছেড়ে যাওয়া হয়েছে। তার একটি হল, সেগুলোকে শেকড় ছাড়া করতে না চাওয়া।

“তিনি (পার্ক) চলে যাওয়ার সময় ভবনের কর্মীদের সেগুলোকে ভালোভাবে যত্ন নেওয়ার কথা বলে গেছেন এবং যদি প্রয়োজন পড়ে তবে সেগুলোর জন্য নতুন কোনো ভাল আবাস খুঁজে বের করতে বলেছেন।”

২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এক জোড়া জিন্দো কুকুর নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভবনে আসেন পার্ক। ওই জোড়া পরে কয়েকটি ছানার জন্ম দেয়।