ট্রাম্পের ২০০৫ সালের ট্যাক্স রিটার্ন ফাঁস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০০৫ সালে দেড়শ মিলিয়ন ডলার আয়ের উপর ৩৮ মিলিয়ন ডলার কর দিয়েছিলেন বলে ‘ফাঁস’ হওয়া এক আয়কর বিবরণীতে দেখা যাচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2017, 03:49 AM
Updated : 15 March 2017, 04:25 AM

যুক্তরাষ্ট্রের এমএসএনবিসি ট্রাম্পের ওই ট্যাক্স রিটার্নের দুটি পৃষ্ঠা প্রকাশ করার পর হোয়াইট হাউজ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিবিসির এক প্রতিবেদনে।

এমএসএনবিসিকে রিটার্নের ওই অংশ দিয়েছেন পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া অনুসন্ধানী সাংবাদিক ডেভিড কে জনস্টন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, একটি সূত্র থেকে তিনি ওই পৃষ্ঠা দুটি পেয়েছেন, যার নাম গোপন রাখা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ফাঁস’ হওয়া ওই দুই পৃষ্ঠা পুরো রিটার্নের একটি অংশ মাত্র। ট্রাম্পের আয় সে সময় কত ছিল, তাও অংশ দেখে বোঝা যায় না।

কিন্তু ট্রাম্পের সম্পদ আর তার আয়করের বিষয়ে সাংবাদিকরা এতোটাই কম তথ্য এ যাবতকালে পেয়েছেন যে ওই দুই পৃষ্ঠা পাওয়াই যথেষ্ট ‘গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।

ওই দুই পৃষ্ঠার তথ্যে দেখা যায়, ট্রাম্প ‘ফেডারেল ইনকাম ট্যাক্স’ হিসেবে দিয়েছেন ৫.৩ মিলিয়ন ডলার। এর বাইরে তিনি আরও ৩১ মিলিয়ন ডলার দিয়েছেন ‘অলটারনেটিভ মিনিমাম ট্যাক্স’ হিসেবে।   

ধনী ব্যক্তিদের কর এড়ানোর পথ বন্ধ করতে অর্ধশতক আগে যুক্তরাষ্ট্রে ‘অলটারনেটিভ মিনিমাম ট্যাক্স’ ব্যবস্থা চালু করা হয়। ট্রাম্পের যে ৩৮ মিলিয়ন ডলার কর দেওয়ার তথ্য ওই দুই পৃষ্ঠায় পাওয়া যায় তাতে তার ক্ষেত্রে করের হার দাঁড়ায় ২৪ শতাংশ। এই হার সাধারণ আমেরিকানদের তুলনায় বেশি হলেও ধনীদের দেওয়া করের গড় হার, অর্থাৎ ২৭.৪ শতাংশের চেয়ে কম।

যুক্তরাষ্ট্রের আইনে ট্যাক্স রিটার্ন ‘ফাঁস’ করা ফৌজদারি অপরাধ। তবে এক যুগ আগে দেওয়া ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশের ক্ষেত্রে এটি অপরাধ হবে কীনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এমএসএনবিসির উপস্থাপক র‌্যাচেল ম্যাডো।

তার ভাষ্য, তারা ট্রাম্পের ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করেছেন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর আওতায়, যেখানে জনস্বার্থে তথ্য প্রকাশের অধিকার দেওয়া রয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ছবি: ডিসিরিপোর্ট.অর্গ

এমএসএনবিসি ট্যাক্স রিটার্নের ওই অংশ প্রকাশের ঠিক আগে দেওয়া এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজ একে ‘অবৈধ’ বলেছে।

হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে এমএসএনবিসিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়, “রেটিং বাড়ানোর জন্য তোমরা আইন ভঙ্গ করে এমন একটি গল্প সামনে নিয়ে আসছো, যেখানে এক দশক আগে দেওয়া ট্যাক্স রিটার্নের মাত্র দুটি পৃষ্ঠা আছে।”

নির্বাচনী প্রচারের সময়ে বিরোধীদের তীব্র চাপের মুখেও নিজের আয়করের তথ্য প্রকাশ করেননি রিপাবলিকান ট্রাম্প।

যুক্তরাষ্ট্রে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদের প্রার্থীরা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে জনসম্মুখে নিজেদের ট্যাক্স রিটার্ন প্রকাশ করলেও নিউ ইয়র্কের ধনকুবের ট্রাম্প তা করেননি।