আইসিসি’তে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার মুখে দুতের্তে

শিগগিরই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রদরিগো দুতের্তের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করবেন তারই একসময়কার ‘ডেথ স্কোয়াডের’ সদস্য এদগার মাতোবাতো।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2017, 04:54 PM
Updated : 14 March 2017, 04:54 PM

গত সপ্তাহে আত্মগোপন থেকে বেরিয়ে আসা মাতোবাতো স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, দুতের্তে দাভাওয়ের মেয়র থাকাকালে তিনি তার ‘ডেথ স্কোয়াডে’ ছিলেন এবং তার পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছেন।  দাভাও এলাকায় ৫০ জনের বেশি মানুষকে হত্যার কথাও স্বীকার করেছেন মাতোবাতো।

টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে মাতোবাতোর আইনজীবী জুদে সাবিও আইসিসি তে দুতের্তের বিরুদ্ধে তার মামলা করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানান। মঙ্গলবার  সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়।

সাবিও বলেন, “মার্চে বা এপ্রিলের শুরুতে মাতোবাতো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে  একটি মামলা করবেন।”

গত বছর জুনে দুতের্তে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধের’ কথা বলে প্রায় আট হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, যাদের এক তৃতীয়াংশই রেইড বা স্টিং অপারেশনের সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশের চালানো গুলিতে নিহত হয়েছে।

তবে অন্যান্য হত্যাগুলোর সঙ্গে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা দুতের্তে এবং পুলিশ উভয়ই অস্বীকার করেছে।

দীর্ঘ ২২ বছর দাভাও সিটির মেয়র ছিলেন দুতের্তে। ওই সময় অনেক অপরাধীর মৃত্যুর কারণ সন্দেহজনক ছিল।

মানবাধিকার দলগুলোর দাবি, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর একই পথে হাঁটছেন দুতের্তে।

সম্প্রতি মাতোবাতে এবং অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আর্তরো লাসকানাসও সিনেটের সামনে দাভাও এর তথাকথিত হিট স্কোয়াডে থাকার এবং দুতের্তের নির্দেশে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।

যদিও আইন প্রণেতারা তাদের ওই স্বীকারোক্তির পক্ষে কোনও প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাননি। প্রেসিডেন্টের সহযোগীরা ওই স্বীকারোক্তিকে ‘বানোয়াট’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

গত সপ্তাহে লাসকানাসও বলেন, আরও অনেক প্রত্যক্ষদর্শী দুতের্তের বিরুদ্ধে কথা বলবেন বলে তার বিশ্বাস।

দুতের্তের প্রধান আইনজীবী সালভাদর পানেলো বলেন, “আন্তর্জাতিক আদালতে সম্ভাব্য কোনো মামলা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ভয় পান না।”

“এখানে (ফিলিপিন্সে) বিচারবর্হিরভূত যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেটার জন্য মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যদের নিজেদের মধ্যে লড়াই দায়ী। প্রেসিডেন্ট বা পুলিশ কেউই সেটার পেছনে ছিল না।”

গত মাসে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মাদক নির্মূলের কথা বলে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেগুলো দেখে মনে হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ খুবই ‘সুশৃঙ্খল, পরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধ’ হয়ে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে।