নারী ছাড়াই নারী কাউন্সিল চালু সৌদি আরবে

নারীদের স্বাধীনতা দেওয়ার ব্যাপারে অনুদার দেশ সৌদি আরবে নারী কাউন্সিল চালু করা নিঃসন্দেহে একটি উৎসাহব্যাঞ্জক উদ্যোগ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2017, 04:01 PM
Updated : 14 March 2017, 04:01 PM

কিন্তু সেই কাউন্সিলে চোখে পড়ল নারীরই বড়ো অভাব। কাউন্সিলের উদ্বোধনীতে দেখা মেলেনি কোনও নারীর। ১৩ জন পুরুষের বৈঠকের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে কাউন্সিল।

আল-কাশিম প্রদেশের প্রথম এ নারী পরিষদকে বলা হচ্ছে ‘কাশিম গার্লস কাউন্সিল’।

এর উদ্বোধনী বৈঠকের ছবিতে মঞ্চে দেখা গেছে ওই কয়েকজন পুরুষকেই, নেই কোনও নারী।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়, খুব সম্ভবত নারীরা অন্য একটি কক্ষে ছিলেন এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

শনিবার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয় এবং বৈঠকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়।

ছবিগুলোকে জানুয়ারিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ছবির সঙ্গে তুলনা করেছেন সমালোচকরা।

সেই ছবিতে দেখা গিয়েছিল, গর্ভপাত নীতিতে স্বাক্ষর করছেন ট্রাম্প এবং তার চারপাশ ঘিরে থাকা সবাই পুরুষ। অর্থাৎ, নারীদের জন্য ট্রাম্প এ নীতি নিলেও তারাই সেখানে ছিল অনুপস্থিত।

আল-কাশিম প্রদেশের গভর্নর প্রিন্স ফয়সাল বিন মিশাল বিন সৌদ গার্লস কাউন্সিলের উদ্বোধনী বৈঠকের নেতৃত্ব দেন।

তিনি বলেন, এ ধরনের একটি সম্মেলন নিয়ে তিনি গর্বিত এবং সৌদি আরবে এ ধরনের উদ্যোগ এটিই প্রথম।

“কাশিম প্রদেশে আমরা নারীদের পুরুষদের বোন হিসেবে দেখি। আমরা নারীদের প্রতি আরও উদারতা দেখানো এবং তাদের আরও সুযোগ দেওয়া যা নারী ও মেয়েশিশুদের কাজে লাগবে সেটিকে আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করি।” 

প্রিন্স ফয়সাল বিন মিশাল বিন সৌদের স্ত্রী প্রিন্সেস আবির বিনতে সালমান গার্লস কাউন্সিলের প্রধানের দায়িত্ব পালন করবেন।

সৌদি আরবে নারীদের উপর অনেক বিধিনিষেধ আছে। এমনকি সেখানে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতিও দেওয়া হয় না।

কিন্তু ‘ভিশন ২০৩০ প্রোগ্রাম’র অংশ হিসেবে দেশটির সরকার নারীদের উপর ওইসব বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করতে পারে।

ওই প্রকল্পের অধীনে কর্মক্ষেত্রে ২২ থেকে ৩০ শতাংশ নারী কর্মী থাকার লক্ষ্যমাত্রাও ধার্য করা হয়েছে।