কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) রিপাবলিকানদের দীর্ঘপ্রতিক্ষীত স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন দিয়েছে।
সিবিও বলেছে, ২০২৬ সাল নাগাদ বীমা সুবিধা হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ২ কোটি ৪০ লাখে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা ‘ওবামাকেয়ার’ নামে পরিচিত ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ এর স্থলে রিপাবলিকানরা ‘আমেরিকান হেলথ কেয়ার অ্যাক্ট’ (এএইচসিএ) নামের নতুন এ স্বাস্থ্যসেবা বিল আনবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিলটিতে সমর্থন দিয়েছেন।
রিপাবলিকানদের নতুন এ বিলের আওতায় ১০ বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট ঘাটতি কমবে ৩৩ হাজার ৭শ’ কোটি ডলার। আর এ সঞ্চয়ের ফলে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকানরা নতুন আইনের প্রচার চালাতে পারবেন।
সিবিও এবং কর সংক্রান্ত যৌথ কমিটি হিসাব করে এও দেখেছে যে, ২০১৮ সাল নাগাদ নিম্নআয়ের মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা মেডিকেইডের আওতায় থাকবে আরও ৫০ লাখ কম মানুষ। আর ২০২৬ সাল নাগাদ আনুমানিক আরও ১ কোটি ১৪ লাখ কম মানুষ মেডিকেইড পাবে।
সিবিও অনুমানিক হিসাব দিয়ে বলেছে, নতুন বিলটি আইনে পরিণত হলে ২০২৬ সাল নাগাদ বীমাবিহীন মানুষের সংখ্যা বেড়ে ৫ কোটি ২০ লাখ পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু আইনটি অপরিবর্তিত থাকলে একই সময়ের মধ্যে বীমবিহীন মানুষের সংখ্যা হতে পারত ২ কোটি ৮০ লাখ।
রিপাবলিকানরা শিগগিরই বিলটি নিয়ে প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটির পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু সিবিও প্রতিবেদন প্রকাশের পর প্রতিনিধি পরিষদের বাজেট কমিটি বিলটি নিয়ে চটজলদি কোনও কিছু না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের দুটো কমিটি ওবামাকেয়ারের জায়গায় নতুন বিলটি অনুমোদন করার পর এক সপ্তাহ আগে রিপাবলিকান নেতারা এ পরিকল্পনা প্রকাশ করেন। কিন্তু পরিকল্পনাটিতে আপত্তি জানায় ডেমোক্র্যাটরাসহ চিকিৎসকরা, বিভিন্ন হাসপাতাল, চিকিৎসাসেবা প্রদানকারীরা এবং কনজারভেটিভরাও।
তার ওপর কংগ্রেসনাল বাজেট অফিস (সিবিও) বিলটির প্রভাব নিয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছে তাতে করে আইনপ্রণেতাদের বিশেষ করে সিনেটে এর পক্ষে সমর্থন পাওয়াও রিপাবলিকানদের জন্য কঠিন হতে পারে।
কয়েকজন স্বাস্থ্য নীতি বিশেষজ্ঞ এবং ওয়াল স্ট্রিটের বিশ্লেষকরা বলছেন, সিবিও প্রতিবেদনেটি যতটা ভাবা হয়েছিল তার চেয়েও অনেক বেশি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে। ফলে বিলটি বাতিলের পক্ষেই মত দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।