২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ে আশাবাদী বিজেপি

উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে বড় জয় পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আশাবাদী করে তুলেছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি)।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 March 2017, 03:16 PM
Updated : 13 March 2017, 03:16 PM

বিজেপি’র নেতাদের আশা, ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে তারা আরও বেশি আসনে জয়লাভ করবেন।

ভারতের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশ বরাবরই জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

দেশটির সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশে ক্ষমতাসীন সমাজবাদী পার্টির প্রার্থীদের বিরাট ব্যবধানে পরাজিত করেছে নরেন্দ্র মোদীর দল।

ভারতের নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া ফলাফল অনুযায়ী, এই রাজ্যে ৪০৩ আসনের মধ্যে বিজেপির প্রার্থীরা ৩১২টি আসনে জয় পেয়েছে, যেখানে সরকার গঠনের জন্য ২০২ আসনই যথেষ্ট।

১৯৭৭ সালের পর এই প্রথম উত্তর প্রদেশে কোনও একটি দল এত বড় জয় পেয়েছে।

 শনিবার ভারতের পাঁচ রাজ্যের স্থানীয় নির্বাচনের ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়। যেখানে বিজেপি দুটি রাজ্যে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে, বিরোধী দল কংগ্রেস তিনটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে।

এক সংবাদ সম্মেলনে বিজেপি নেতারা বলেন, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিতে শিগগিরই প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর পদত্যাগ করবেন।

বিজেপি প্রধান অমিত শাহ বলেন, “আগামীতে অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও বিজেপির জয়যাত্রা অব্যাহত থাকবে। আমরা মোদীর নেতৃত্বে ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে আরও বড় জয় পাব।”

গত বছর নভেম্বরে হঠাৎ করেই রুপির সবচেয়ে বড় দুইটি নোট অচল ঘোষণা করেন মোদী।

যে কারণে দেশজুড়ে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানোর অর্থ জোগাড় করতে দেশবাসীকে দীর্ঘসময় ব্যাংকগুলোর সামনে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

সমাজের সব স্তরে এটি নিয়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এমনকি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতিও ধীর হয়ে যায়।

মোদীর ওই সিদ্ধান্তের পর বিধানসভার নির্বাচন তার দলের জন্য এসিড টেস্ট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল।

নির্বাচনে  বড় জয় ওই পরীক্ষায় বিজেপির ভালভাবে উতরে যাওয়ার প্রমাণই দিচ্ছে।

বিজেপির প্রধান কার্যালয় থেকে দেওয়া এক ভাষণে মোদী বলেন, “হয়ত আমরা কিছু ভুল করছি। কিন্তু ভুল উদ্দেশ্যে আমরা কিছুই করব না।”

রোববার দেশটির বেশিরভাগ টেলিভিশন চ্যানেলে মোদীর ভাষণ সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

মোদী বলেন, ২০২২ সালে, স্বাধীনতার ৭৫তম বার্ষিকীতে বিশ্ব ‘নতুন ভারত’ দেখবে।

“আমার দেশের মানুষের জন্য ভারতকে এগিয়ে নিতে আমরা পাঁচ বছর সময় পেয়েছি।”

“২০২২ সালে ভারতকে যেখানে দেখার স্বপ্ন আমরা দেখেছি তা পূরণের পথে নির্বাচনের এ ফল আমাদের আরও বলিষ্ঠ করবে।”