আটকে পড়াদের ফেরাতে উ. কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে: মালয়েশিয়া

দেশত্যাগে সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়ায় আটকে পড়া মালয়েশিয়ার নয় নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনতে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

>>রয়টার্স
Published : 13 March 2017, 02:41 PM
Updated : 13 March 2017, 03:05 PM

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সৎভাই কিম জং-ন্যাম হত্যাকাণ্ড নিয়ে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

বিশ্বের সঙ্গে প্রায় বিচ্ছিন্ন উত্তর কোরিয়ার যে অল্প কয়েকটি দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে, এ ঘটনার আগে মালয়েশিয়া সেগুলোর একটি ছিল।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ন্যামকে বিষাক্ত রাসায়নিক ভিএক্স নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগ করে হত্যা করা হয়।

যদিও উত্তর কোরিয়া ন্যাম হত্যার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি। তারা ‘উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক পাসপোর্টধারী’ এক ব্যক্তির মালয়েশিয়ায় মৃত্যু হওয়ার কথা বলেছে।

ন্যাম হত্যাকাণ্ড নিয়ে মালয়েশীয় পুলিশের তদন্ত এবং সন্দেহভাজনের তালিকায় থাকা উত্তর কোরিয়ার নাগরিকদের (যাদের মধ্যে কুয়ালালামপুরে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের একজন কর্মকর্তাও রয়েছেন) জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে পিয়ংইয়ং।

যার জের ধরে ৭ মার্চ পরস্পরের নাগরিকদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উত্তর কোরিয়া ও মালয়েশিয়া। মালয়েশিয়া উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতকেও বরখাস্ত করেছে।

তবে গত সপ্তাহে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক বলেন, পিয়ংইয়ং এর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে না এবং উদ্ভূত সমস্যা সমাধানে আলোচনা চলছে।

নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর আটকা পড়া ১১ মালয়েশীয় নাগরিকের মধ্যে দুইজন পরে উত্তর কোরিয়ায় ত্যাগ করেন। তারা জাতিসংঘের বিশ্ব খ্যাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) কর্মী বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়া। তবে তারা কীভাবে উত্তর কোরিয়া ছেড়ে এসেছেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।

এখন যে নয়জন আটকা পড়ে আছেন তাদের মধ্যে তিনজন কূটনীতিক এবং বাকি ছয়জন তাদের পরিবারের সদস্য।

মালয়েশিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী আহমদ জাহিদ হামিদি সাংবাদিকদের বলেন, “উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা চলছে।”

“পিয়ংইয়ংয়ে আটকে পড়া মালয়েশিয়ার নয় নাগরিকের নিরাপত্তাকে আমরা আগ্রাধিকার দিচ্ছি।”