দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটিই হবে এ অঞ্চলে জাপানের নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় শক্তিপ্রদর্শনী।
২৪৯ মিটার দীর্ঘ রণতরী ইজুমো হেলিকপ্টার ধ্বংস করতে সক্ষম। ১৪টি হেলিকপ্টারও বহন করতে সক্ষম ইজুমো। দু’বছর আগে তৈরি এ জাহাজটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপানের বচেয়ে বড় যুদ্ধজাহাজ।
জুলাইয়ে ভারত মহাসাগরে ভারতীয় এবং মার্কিন নৌবহরের সঙ্গে মালাবার যৌথ নৌমহড়ায় যোগ দেওয়ার আগে ইজুমো সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স এবং শ্রীলঙ্কায় যাত্রাবিরতি করবে। এরপর অগাস্টে এটি ফিরে যাবে জাপানে।
দূরের একটি মিশনে পাঠিয়ে ইজুমোর সক্ষমতা পরীক্ষা করাই এর উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। তিনি বলেন, দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণে অংশ নেবে ইজুমো।
তবে জাপানের মেরিটাইম সেল্ফ ডিফেন্স ফোর্সের মুখপাত্র এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যপথ এবং তেল গ্যাসসমৃদ্ধ দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলোর মালিকানা নিয়ে চীনের সঙ্গে অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরোধ রয়েছে। চীনের মতো তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স এবং ব্রুনাইও দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানা দাবি করে আসছে।
এ অঞ্চলটি নিয়ে জাপানের এরকম কোনও দাবি না থাকলেও চীনের সঙ্গে পূর্ব চীন সাগর নিয়ে আরেক বিরোধ রয়েছে জাপানের।
চীন বিতর্কিত জলসীমার প্রায় সবটারই মালিকানা দাবি করে আসছে। সেইসঙ্গে ওই অঞ্চলগুলোতে ক্রমাগত চীনের সামরিক শক্তি বাড়াতে থাকায় জাপানের উদ্বেগ বাড়ছে। উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে পশ্চিমা বিশ্বও। চীনকে মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র এলাকাটিতে নিয়মিত আকাশ ও নৌটহল দিয়ে যাচ্ছে।